শায়েস্তাগঞ্জে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে শেষ হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) এই পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
শেষমুহূর্তে শনিবার দিনভর প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পৌর এলাকাজুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আগামী ৫ বছরের জন্য কে হচ্ছেন পৌর মেয়র তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই পৌরবাসীর।
স্থানীয়রা বলছেন, ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। ফলে এ পৌরসভায় ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন ৬ জন প্রার্থী। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাসুদউজ্জামান মাসুক, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এমএফ আহমেদ অলি। তবে বর্তমান মেয়র মো. ছালেক স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। অন্য স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা হলেন জগ প্রতীক নিয়ে আবুল কাশেম শিবলু, চামচ প্রতীক নিয়ে ফজল উদ্দিন তালুকদার, মোবাইল প্রতীক নিয়ে ইমদাদুল ইসলাম শীতল।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাসুদউজ্জামান মাসুক শনিবার বিকেলে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে গণসংযোগ করেন। মাঠে ছিলেন ধানের শীষের প্রার্থী আহমেদ অলিসহ স্বতন্ত্র অন্য প্রার্থীরাও।
ভোটের পরিবেশ ভালো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুক। তবে বিএনপির প্রার্থী আহমেদ অলি ও স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের দাবি করেছেন। নির্বাচনে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগও করেছেন তারা।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে। এবার ইভিএমে ভোটগ্রহণ করায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে বলে শতভাগ আশাবাদী।
তিনি আরও বলেন, ভোটের দিন পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে।
২০১৩ সালে ‘প্রথম শ্রেণির পৌরসভা’ হিসেবে উন্নীত হয় শায়েস্তাগঞ্জ। এই পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৯৬১। এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৮৩৫ জন ও নারী ভোটার ৯ হাজার ১২৬ জন। পৌর এলাকার ৯টি কেন্দ্রের ৪৬টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে।
কামরুজ্জামান/এএএইচ/এমএস