গফরগাঁওয়ে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ, চিপাগলিতে বিএনপি
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পৌর নির্বাচনের আর মাত্র ৯ দিন বাকি। ভোট সামনে রেখে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার প্রার্থী এসএম ইকবাল হোসেন সুমন। মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তবে ভোটের মাঠে নেই বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
নির্বাচনী এলাকায় তেমন চোখেই পড়ছে ধানের শীষের প্রার্থীর পোস্টার। অলি-গলিতে অল্পসংখ্যক পোস্টার চোখে পড়ছে। নেই তেমন প্রচার-প্রচারণাও। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ- পোস্টার লাগাতে গেলেই মারধর ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তারা। গুলি করে মেরে ফেলার ভয়ও দেখানো হচ্ছে। তবে সুষ্ঠু ভোট হলে নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী জয়ী হবে বলে দাবি তাদের।
তবে বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন- বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবং তার সমর্থকরা অজানা কারণে পোস্টার ও প্রচারণা থেকে বিরত রয়েছেন। তাদেরকে কোনো ধরনের হুমকি বা বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেনি। এবার গফরগাঁও পৌর নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে প্রত্যাশা করছেন নৌকার সমর্থকরা।
ধানের শীষের প্রার্থী শাহ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমার কর্মীরা সবসময় আতঙ্কে থাকে। গণসংযোগ ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চলছে। পোস্টারও লাগানো হচ্ছে, তবে তা বেশিরভাগই চিপাগলিতে। কারণ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী আমার সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি বিজয়ী হবেন বলে দাবি করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।
গত নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন নৌকার প্রার্থী এসএম ইকবাল হোসেন সুমন। এবারও দলের হাইকমান্ড তার ওপর আস্থা রেখেছে। দ্বিতীয় মেয়াদে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
জানতে চাইলে এসএম ইকবাল হোসেন সুমন বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রথম মেয়াদে আমি পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করেছি। আমি আশাবাদী গফরগাঁওবাসী দ্বিতীয় মেয়াদে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার শামসুন নাহার ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচনী প্রচারে কোনো প্রার্থীকে হুমকি-ধামকি বা বাধা দেয়ার অভিযোগ পাইনি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, নির্বাচনে এরই মধ্যে চারজন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে শাহজাহান সাজু, ৮নং ওয়ার্ডে বাবুল হোসেন, সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ড (৭, ৮ ও ৯ নিয়ে গঠিত) পারভীন আক্তার, ২নং ওয়ার্ড (৪, ৫ ও৬) নিলুফা ইয়াসমিন রত্না। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গফরগাঁও পৌরসভা গঠিত হয়। পৌরসভায় মোট ভোটার ২২ হাজার ২৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৮৬১ জন এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৪৩৫ জন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর ১০টি কেন্দ্রের ৬৯টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এএএইচ/এমএস