আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি ৯ দিন পর গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:৪৯ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী হত্যা মামলার আসামি ইকবাল হোসেনকে (৩৫) সিলেটের লাক্কাতোরা চা বাগান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনার ৯ দিন পর শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সুনামগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তাকে সুনামগঞ্জ সদর পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন,পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়া হত্যা মামলার আসামি ইকবাল হোসেনকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক একটি মামলা করেছেন। দুইটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে আনা স্ত্রীকে খুনের মামলার আসামি ইকবাল হোসেন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যান।

জানা যায়, ৯ ডিসেম্বর বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ শহরতলির হালুয়ারগাঁওয়ের জেলা কারাগার থেকে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কিরনপাড়া গ্রামের মনোয়ারা বেগমকে (স্ত্রী) হত্যা মামলায় ইকবাল হোসেনকে আদালতে হাজির করার জন্য নিয়ে আসে কোর্ট পুলিশ। পরে দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সকলের অলক্ষ্যে পালিয়ে যান ইকবাল হোসেন। সন্ধ্যার পর অন্য আসামিদের ফিরিয়ে দেয়া হলেও ইকবাল হোসেনকে কারাগারে ফেরত না দেয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়।

২০১৩ সালে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কিরনপাড়া গ্রামের মনা মিয়ার মেয়ে মনোয়ারা বেগমকে বিয়ে করেন ইকবাল হোসেন। বিয়ের ৪ বছর পর ২০১৭ সালের জুন মাসে ইকবাল হোসেন তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে খুন করে লাশ জঙ্গলে লুকিয়ে রাখেন।

মনোয়ারা বেগমের লাশ পচে দুর্গন্ধ বের হলে গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১৩ জুন মনোয়ারা বেগমের মা আমিনা বেগম বাদী হয়ে ইকবাল হোসেনকে আসামি করে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মামলাটি এখনও বিচারাধীন আছে।

লিপসন আহমেদ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।