যশোর আঞ্চলিক ইজতেমায় লাখো মুসল্লির জমায়েত


প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

যশোরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার আঞ্চলিক পর্ব। ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাবলীগ জামায়াতের তিন দিনের এ ইজতেমা। ফলে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে অন্য বছরের মতো যশোরাঞ্চলের মানুষের এবার টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে যেতে হবে না। যশোরে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমায় প্রথম দিনেই লক্ষাধিক মুসল্লির জমায়েত হয়েছে।

ইজতেমাকে ঘিরে রীতিমত মুসল্লিদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে উপ-শহর ও এর আশপাশের এলাকা।
তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমার যশোরের এ আঞ্চলিক পর্ব শনিবার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।

ইজতেমা ময়দান ঘুরে ও আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যশোর শহরের উত্তরের অবস্থিত উপ-শহর কলেজমাঠসহ ওই এলাকার বিশাল এলাকাজুড়ে এজন্য নির্মাণ করা হয়েছে ইজতেমা মাঠ। গোটা এলাকাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে প্যান্ডেল। তাবলীগ জামায়াতের আয়োজনে তিন দিনব্যাপি এ ইজতেমায় অংশ নিতে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসছেন।

ইতোমধ্যে ইজতেমা স্থলে হাজির হয়েছেন লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। তাদের থাকা খাওয়াসহ সুষ্ঠুভাবে বয়ান শোনার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া মুসল্লিরা যাতে অজু, গোসল ও নির্বিঘ্নে ইবাদত করতে পারেন সেজন্য নেয়া হয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোটা ইজতেমা মাঠকে সিসি টিভির আওতায় নেয়া ছাড়াও রাখা হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করতে কাজ করছেন কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবী।

ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি জানুয়ারি মাসে ঢাকার টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে তাবলীগ জামাতের সবচেয়ে বড় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ বিদেশের লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটে এ ইজতেমায়। কিন্তু কয়েক বছর ধরে লোক সমাগম বেড়ে যাওয়ায় তুরাগ পাড়ে স্থান সংকুলনের সমস্যা প্রকট হতে থাকে। এজন্য আয়োজকরা সিদ্ধান্ত নেন ২০১৬ সালের ইজতেমায় তুরাগ পাড়ে মাত্র ৩২ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেবেন। বাকি জেলার লোকজন নিজ নিজ এলাকায় বিশেষ ইজতেমার আয়োজন করবেন।

Jessore-Esteman

প্রথমবারের মত দেশের ১৬টি জেলায় বিশ্ব ইজতেমার আঞ্চলিক পর্ব আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে ইজতেমা বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হলেও বুধবার দুপুরের পর থেকে যশোর উপ-শহর কলেজ মাঠ ও তৎসংলগ্ন তিনটি মাঠসহ আশপাশের এলাকায় সমবেত হতে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় ইজতেমার কার্যক্রম। ভোর থেকে আল্লাহু আকবর রবে মুখরিত হচ্ছে ইজতেমা স্থল।

ইজতেমায় অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানিয়েছেন, ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তাসহ আয়োজকদের নেওয়া সার্বিক ব্যবস্থাপনায় তারা সন্তুষ্ট।

যশোরের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক জানান, ইজতেমা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এক হাজার স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে পুলিশের পাঁচ শতাধিক কর্মীর পাশাপাশি র্যা বসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মিলন রহমান/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।