প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা কামাতেন তারা
প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক যুবককে বাসায় ডেকে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির অভিযোগে তিন নারী সদস্যসহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে এমন প্রতারণা করে আসছেন।
রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নওগাঁ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া এ তথ্য জানান।
এর আগে ভুক্তভোগী এক যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় শহরের বাঁঙ্গাবাড়িয়া মহল্লায় মৃত হাফেজ উদ্দিন কবিরাজের ছেলে টিটুর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার বাচাড়ীগ্রাম সোনার পাড়ার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে এনামুল হক, জেলার আত্রাই উপজেলার মধুগুড়নই গ্রামের ইউসুফ শেখের ছেলে বাহাদুর শেখ (৩৮), তার স্ত্রী মুক্তা (৩৫), চকবাড়িয়া বাউস্থাপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলী (৪৫), কাশিয়াপাড়া গ্রামের আজিজুল হাকিমের ছেলে আল আমিন, নবারের তাম্বু গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী মুন্নি বিবি (২৮) এবং জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলাধীন সরস্বতীপুর পুকুরপাড়া গ্রামের বুলু’র মেয়ে বুলবুলি (২৩)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, শহরের বাঁঙ্গাবাড়িয়া মহল্লায় টিটু’র বাসা ভাড়া নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল। আত্রাই থানার বান্দাইখাড়া বাজার এলাকার এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত শনিবার দুপুরে বুলবুলি বেগম ওই বাসায় তাকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর বাসায় তাকে আটকে রেখে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ভুক্তভোগী যুবককে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তার পরিবার বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে।
তিনি আরও বলেন, এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল আকতার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওয়ার্দী হোসেন, তদন্ত ফয়সাল বিন আহসান, অপারেশন তাজমিলুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ওই বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে তিন নারীসহ সাতজনকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগী যুবক বাদী হয়ে শনিবার রাতেই সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
আব্বাস আলী/এসজে/এমকেএইচ