যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেন চাঁদপুরের মেয়র
যতদিন পর্যন্ত পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধ না হয় চাঁদপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত পরিষদ তাদের সম্মানীর টাকা নেবে না। এছাড়াও চাঁদপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল তার পুরো মেয়াদকালে কোনো সম্মানীর টাকা গ্রহণ করবেন না। সেই সম্মানীর টাকায় তিনি চালু করছেন ‘মেয়র ভাতা’। এ ভাতার টাকা পাবেন অসহায় দুস্থ আর অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষর্থীরা। হবে সামাজিক কাজও।
সম্প্রতি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েলের সঙ্গে আলাপকালে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমি আমার বেতন নিচ্ছি না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি পুরো মেয়াদকালেও সম্মানী নেব না। সম্মানীর পুরো টাকা দুস্থ অসহায় মানুষদেরকে ভাতা হিসেবে দেয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমার সম্মানীর অর্থ একটি ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখছি। প্রতি মাসেই সে টাকা জমা হবে। ওই টাকা থেকেই দুস্থ অসহায়দের মাঝে দেয়া হবে ‘মেয়র ভাতা’।
তিনি আরো বলেন আমাদের অফিস স্টাফদের বেতন এখন পর্যন্ত বকেয়া আছে। তাদের বকেয়া বেতন যতদিন পরিশোধ না হবে ততদিন আমাদের পৌর পরিষদের কেউই বেতন নেবেন না। এটা আমরা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে পৌর মেয়র দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। সুধীসমাজ মনে করেন, তার এ সিদ্ধান্ত সারাদেশে অনুকরণীয় হতে পারে।
পৌরসভায় নাগরিক সেবা নিতে আসা কয়েকজন জানান, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর জিল্লুর রহমান জুয়েল বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে একের পর এক উদাহরণ তৈরি করছেন। যা আমরা আগে কখনো চিন্তাও করতে পারিনি। ব্যতিক্রমী চিন্তা ও কাজের দ্বারা তিনি ইতোমধ্যে পৌরবাসীর আস্থা অর্জন করে চলেছেন। ইচ্ছা করলেই এখন মেয়রের সঙ্গে দেখা করা যায়। অভিযোগ অনুযোগ তিনি সরাসরি শুনছেন। এর আগে এমনটি হতে দেখিনি।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পাঁচমাস বকেয়া রয়েছে। এ বেতন না পাওয়ায় সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় রয়েছে পৌরসভার আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ অক্টোবর চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শপথ গ্রহণ করেন। এর আগে ১০ অক্টোবর চাঁদপুর পৌরসভার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।
নজরুল ইসলাম আতিক/এফএ/এমএস