১২ বছর পর বেকারি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি
কৌশলে বেকারীর ভোগ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে দিয়েছে চাঁদপুর বেকারি ও কনফেকশনারী মালিক সমিতি। এ দাম নিয়ে ইতোমধ্যেই সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছে। মূল্য তালিকাটি অনুমোদিত কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ ভোক্তারা।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন মূল্য তালিকা অনুযায়ী পণ্য বেচাকেনা হতে দেখা গেছে।
জানা যায়, নতুন মূল্য তালিকা প্রকাশের আগে শুক্রবারসহ দুইদিন মালিক কর্তৃপক্ষ বেকারি বন্ধ রাখে। তারপর পণ্যের সাময়িক সংকট তৈরি করে বাজারজাত করা শুরু করে। অবশ্য এ দুইদিনের ফাঁকেই নতুন মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে চাঁদপুর জেলা ও কনফেকশনারী মালিক সমিতি।
সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ দেওয়া হয় প্রতিটি দোকানে।
মূল্যবৃদ্ধির কারণে দরিদ্র মানুষেরা বেকারি পণ্য কিনতে পারছেন না। বেশিরভাগ বেকারি পণ্য বিক্রেতাও বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
চেয়ারম্যানঘাট জি টি রোডের দোকানদার মো. আব্বাস, সফি উল্লাহসহ বেশ কয়েকজন দোকানি বলেন, আগে দিনে দুই-একটি রুটি অসহায় মানুষকে এমনিতেই দিতাম কিন্তু এখন তাও পারবো না। দাম বৃদ্ধি হওয়াতে আমাদের বেচাকেনাও অনেক কমে গেছে। বেকারী কাজে ব্যবহৃত সামগ্রীর দাম অল্প কিছু বাড়লেও বেকারি পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এতদিন আটার খুচরা মূল্য ছিলো ২৮ টাকা, যা এখন বিক্রি হচ্ছে এক-দুই টাকা বেশি দরে।। চিনির দাম ছিলো ৬০ টাকা এখন তা ৬২-৬৫ টাকা। আর ময়দার দাম বেড়েছে কেজি প্রতি দুই-তিন টাকা। সে তুলনায় বেকারি পণ্যের দাম বেড়েছে তুলনামূলক বেশি।
অপরদিকে অভিযোগ রয়েছে ৫৫ গ্রামের পণ্যে ৫০ গ্রাম, ৭০ গ্রামের পণ্যে ৫০-৬০ গ্রাম, ১৭০ গ্রামের পণ্যে ১৫০ গ্রাম দেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বিক্রেতা জানান, মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমাদের পণ্য বেচাকেনার পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে। অনেক সময় সাধারণ মানুষ আমাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই।
এ বিষয়ে বেকারি ও কনফেকশনারী মালিক সমিতির সভাপতি এস এম জয়নাল আবেদীন বলেন, ১২ বছর পর আমরা বেকারি পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেছি। আটা, ময়টা, চিনি, ঘি, তেল, গ্যাসসহ যাবতীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে আমরা বেকারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করেছি। দীর্ঘদিন আমরা ব্যবসায় লস দিয়ে আসছি তাই সময়ের প্রয়োজনে মূল্য বৃদ্ধি করতে বাধ্য হয়েছি।
নজরুল ইসলাম আতিক/এসএমএম/জেআইএম