চালক আছে, নেই অ্যাম্বুলেন্স
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে সমস্যার পাহাড় নিয়ে। প্রতি বছরই সমস্যা বাড়ছে। বিষয়গুলো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে লেখালেখি হলেও কোনো সমাধান হয়নি। এ সমস্যার মধ্যেই চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম।
যার জন্য আগত রোগীরা পাচ্ছে না পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা। হাসপাতালে নেই অ্যাম্বুলেন্স। এক্সরে মেশিনটিও চার বছর ধরে অকেজো। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২ বছর যাবৎ এ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স নেই। তবে দুই মাস আগে ড্রাইভার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রোগীরা এখনো প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের উপরই নির্ভর করছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ২০১৩ সালের শেষের দিকে এ হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি পুড়িয়ে ফেলে সন্ত্রাসীরা। সেই থেকে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভারকে ডেপুটেশনের মাধ্যমে কুমিল্লা নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গত দুই মাস আগে নতুন একজনকে নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, অ্যাম্বুলেন্স অচল থাকার কারণে কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে না রোগীরা।
এই বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন অফিসসহ মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরে আবেদন পৌঁছানো হয়েছে। তবে এর কোনো সুফল আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। এমনকি সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর ডিউ লেটার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হলেও সেটি অকার্যকর রয়েছে।
এদিকে গত চার বছর যাবৎ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন অকেজো হয়ে রয়েছে। ফলে রোগীরা এসে কোনো সেবা না পেয়ে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের উপরই নির্ভর করতে হয়। চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিসে এই বিষয়ে আবেদন করা হলেও মেশিন চালু করতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ। পুনরায় নতুন একটি এক্স-রে মেশিন দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিলো হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে। কিন্তু, সেখানেও ব্যর্থ হয়েছে উপজেলা কর্তৃপক্ষ। তাই সেবা বঞ্চিত হয়েই ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা।
সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে আরও জানান, সেবা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণ সরঞ্জাম না থাকায় রোগীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে চিকিৎসকগণ বদনামের ভাগী হচ্ছেন। রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত সেবা দেয়ার মানসিকতা রয়েছে ডাক্তারদের। কিন্তু, মূল সমস্যা সেবা দেয়ার মতো যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধার অভাব।
এদিকে, এসব সমস্যার কারণে স্বাস্থ্য সেবা নিতে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভিড় নেই বলে ডাক্তারগণ অলস সময় কাটাচ্ছেন।
ইকরাম চৌধুরী/এমজেড/আরআইপি