ওসমানী হাসপাতালেও ছাত্রলীগ-প্রজন্মলীগের সংঘর্ষ
সিলেট নগরের চাঁদনীঘাটে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের দেড় ঘণ্টার মাথায় এবার ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারামারি করলেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ ও প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক খালেদ ওসমানী গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
বুধবার রাত ১০টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের লিফটের সামনে মারামারি করে তারা। মারামারির সময় হাসপাতালের লিফটও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা গেছে, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় সার্কিট হাউসের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে সিলেট জেলা যুবলীগ। সমাবেশস্থলে বসা নিয়ে প্রজন্মলীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক খালেদ ওসমানী অনুসারীদের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ গ্রুপের নেতাকর্মীদের হাতাহাতি হয়।
এরই জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চাঁদনীঘাট এলাকায় সমাবেশের প্রধান অতিথি যুবলীগের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতাউর রহমান আতার বক্তব্য শেষ হওয়ার পরপরই খালেদ ওসমানীর ও ছাত্রলীগ সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদের গ্রুপের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সৈয়দ কাওছার, শিপু, জাওয়াদ, আমিন উদ্দিন ও খালেদ ওসমানীকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একপর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা ওসামানী হাসপাতালে অবস্থান নেয়। রাত ১০টার দিকে হাসপাতালের লিফটের সামনে তারা মারামারিতে লিপ্ত হয়। এ সময় হাসপাতালের লিফট ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষর্শীরা।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। রাত ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওসামানী হাসপাতালে বিপুল পরিমাণ পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। আহত আমিন উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহাম্মদ জানান, চাঁদনীঘাট এলাকায় যুবলীগের সমাবেশস্থলে সংঘর্ষের পর তারা ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ছামির মাহমুদ/বিএ