আকাশ ও সমুদ্রসীমায় ভূমিকা রাখবে বিশেষ রাডার : রাষ্ট্রপতি


প্রকাশিত: ১১:০৩ এএম, ১১ নভেম্বর ২০১৫

আকাশ ও সমুদ্রসীমা প্রতিরক্ষায় কক্সবাজারের বিশেষ রাডার ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
 
তিনি বলেছেন, বিমান বাহিনীর নতুন অন্তর্ভূক্ত রাডারটি বিশাল সমুদ্রাঞ্চল তথা সমগ্র মহীসুপান এলাকার প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত বিমানসমূহকে সঠিক দিক নির্দেশনা, চলাচল ও নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে। এ ফোর্সেস গুল ২০৩০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কার্যক্রমের পরিধি আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত হয়েছে। বিমানবাহিনীর স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় পেশাদারিত্বের পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বিমানবাহিনীর সদস্যদের কর্তব্যনিষ্টতা ও দক্ষতার জন্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রশংসা পাওয়ার বিষয়টি তিনি উল্লে­খ করেন।

কক্সবাজার শহরের কলাতলী পাহাড়ের উপর স্থাপিত এয়ার ডিফেন্স রাডার (ওয়াই এলসি-৬)’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।

বুধবার দুপুরে বিমানবাহিনী আয়োজিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাডারটি উদ্বোধন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কক্সবাজারসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সামরিক ও আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে কক্সবাজারে স্থাপন করা হয়েছে বিমানবাহিনীর বিশেষ রাডার। শহরতলীর কলাতলী পাহাড়ের উপর স্থাপিত এই রাডারের মাধ্যমে সহজে শত্রুপক্ষের বিমান চিহ্নিত করা যাবে। আর এর মাধ্যমে দেশের আকাশ নিরাপত্তা আরো এক ধাপ বেড়ে গেল বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকরা।

রাডার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এশরার, বিমানবাহিনী ঘাটি কক্সবাজার এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার কমোডোর মো. পারভেজ ইসলামসহ স্থানীয় সাংসদ, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  

কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স রাডার (ওয়াই এলসি-৬) এর অন্তর্ভূক্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিমানবাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারে এসে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কলাতলীস্ত রাডার এলাকায়। সেখানে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বেলা সোয়া একটা পর্যন্ত অবস্থান করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। অনুষ্ঠান শেষে তাকে পুনরায় বিমানবাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং বিকেলে তিনি ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন।

এদিকে রাষ্ট্রপতির ছয় ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরকে ঘিরে কক্সবাজার শহরকে নান্দনিক সাজে সাজায় পৌর কর্তৃপক্ষ। সংস্কার করা হয় রাস্তা। চলে পরিচ্ছন্নতার কাজও। পাশাপাশি শহরজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রশাসন।

শহরে নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যরা  দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া দেশের এলিট ফোর্স স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) একটি অগ্রবর্তী দল গত রোববার থেকে রাষ্ট্রপতির যাতায়াতস্থলে মহড়া দেয় এবং রাষ্ট্রপতি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত শহর জুড়ে তাদের সতর্ক দৃষ্টি ছিল।

সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।