সিরাজগঞ্জের এক লাখ ৩৮ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পাচ্ছেন সার-বীজ
সিরাজগঞ্জে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে সিরাজগঞ্জ জেলার ৯ উপজেলায় এক লাখ ৩৭ হাজার ৮০০ কৃষককে ১০ কোটি ১৮ লাখ ১১ হাজার ১৩৬ টাকার সার ও বীজ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমের জন্য সার ও আট প্রকার বীজ বাবদ পাঁচ কোটি ৪২ লাখ ৪৬ হাজার ১৩৬ টাকা এবং পুনর্বাসনে আট প্রকার বীজ ও সার বাবদ চার কোটি ৭৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, দফায় দফায় বন্যায় সিরাজগঞ্জের দুই লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৩ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৬২০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। যার আর্থিক ক্ষতি ২৮ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার ২৫০ টাকা। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রবি মৌসুমে বোরো, গম, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনা বাদাম, মসুর, খেসারি, টমেটো ও মরিচ ফসলের জন্য জেলার নয়টি উপজেলার অধিক ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা দেয়া হবে। স্বল্প ও মধ্য মেয়াদি শুধু সবজি বীজ বিতরণ করা হবে ১৪ হাজার ৪০০ জন কৃষকের মাঝে।
কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত একটি কৃষক পরিবার এক বিঘা জমির জন্য গমের ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক ২০ কেজি বীজ, সরিষার ক্ষেত্রে এক কেজি বীজ, চীনা বাদামের ক্ষেত্রে ১০ কেজি বীজ, মসুরের ক্ষেত্রে পাঁচ কেজি, খেসারির ক্ষেত্রে আট কেজি বীজ, সূর্যমুখীর ক্ষেত্রে এক কেজি বীজ, টমেটোর ক্ষেত্রে ০.০৫ কেজি বীজ ও মরিচের ক্ষেত্রে ০.৩০ কেজি বীজ পাবেন। প্রত্যেক কৃষক ৫-১০ কেজি ডিএপি ও এমওপি সার সহায়তা হিসেবে পাবেন। এক বিঘা জমি চাষের জন্য দুই কেজি করে হাইব্রিড বোরো ধান বীজ ৪০ হাজার কৃষক পাবেন।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আবু হানিফ জানান, সিরাজগঞ্জে দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি সরকারের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/আরএআর/পিআর