জলমহালে অবৈধ পাটিবাঁধ দিয়ে মাছ ধরছে প্রভাবশালীরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:৪৬ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০২০

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে জলমহালে অবৈধ পাটিবাঁধ দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার। এমনকি পাটিবাঁধ অপসারণ করতে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) বরাবর চিঠি দিলেও সেটি আমলে নিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, জেলার তাড়াইল উপজেলার সূতি নদীর জলমহালটি বাংলা ১৪১৭-১৪১৯ সন মেয়াদে লিজ নেয় সহিলাটি সমবায় সমিতি নামে একটি মৎস্যজীবী সংগঠন। এক লাখ ১২ হাজার টাকা ইজারা মূল্যসহ ভ্যাট-আয়কর পরিশোধ করে গত ৩০ জুলাই জলমহালের দখল বুঝে নেন সমিতির সভাপতি নবদীপ বর্মন।

অভিযোগে বলা হয়, জলমহালের পানি কমতে থাকলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন স্থানে বাঁশের পাটিবাঁধ দিয়ে মাছ আটকে দেয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইজারাদার নবদীপ বর্মন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, মৎস্য আইন অমান্য করে ভেরনতলা, বাঁশাটি, সাররং, শালিহা, মৌগাঁও, পংপাচিয়া ও মোড়ারকান্দি এলাকায় ৩১ ব্যক্তি পাটিবাঁধ নির্মাণ করে জলমহালের মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

সহিলাটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নবদীপ বর্মন জানান, জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনের পর গত ১০ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের রেভেনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো. ফজলে রাব্বী তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) একটি চিঠি দেন। এতে সূতি নদী জলমহালের পাশে সীমানা সংলগ্ন স্থানে মৎস্য আইন-১৯৫০ লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে পাটিবাঁধ দিয়ে কতিপয় ব্যক্তি মাছ ধরার পাঁয়তারা করছে বলে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তাড়াইলের ইউএনওকে অনুরোধ করা হয়। রহস্যজনক কারণে ইউএনও অবৈধভাবে দেয়া পাটিবাঁধ অপসারণে কোনো উদ্যোগ নেননি বলে জানান জালমহালের ইজাদার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তারেক মাহমুদ জানান, মৎস্য আইন অমান্য ও অবৈধভাবে মাছ ধরার বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। পাটিবাঁধ উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জালমহালের ইজারাদার নবদীপ বর্মন অভিযোগ করেন, জলমহাল থেকে প্রভাবশালীরা কয়েক লাখ টাকার মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে এজাহার দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। গত ২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের ৬নং আমলি আদালতে ৬৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। আদালত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

নূর মোহাম্মদ/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।