রাজনের ঘটনা দেখায় ৪ মাস জেল খাটলেন তারা


প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫

বহুল আলোচিত শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। গত সোমবার রাতে তাদের সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

তারা হলেন, আসমত উল্লাহ, ফিরোজ আলী ও রুহুল আমিন।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার মো. ছগির মিয়া জানান, সোমবার বিকেলে রাজন হত্যার রায়ের আদেশ কারাগারে পৌঁছায়। এরপর রাতেই তাদের মুক্তি দেয়া হয়।

এদিকে, কারাগার থেকে বের হয়ে ফিরোজ আলী ও আসমত উল্লাহ সাংবাদিকের বলেন, তারা নির্দোষ ছিলেন। কিন্তু ঘটনাটি দেখার কারণে তারা দোষী হয়ে চার মাস জেল খেটেছেন।

তারা দুজনই বলেন, আদালত তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করেছেন। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য তারা জেলে বসে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতেন বলে জানিয়েছেন তারা।

এর আগে গত রোববার বহুল আলোচিত রাজন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রধান হোতা কামরুলসহ ৪ জনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন, ৩ জনের ৭ বছর এবং দুই জনের এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

গত ২৫ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলায় আসামি যাচাই-বাছাই শেষ হয় এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। ২৬ অক্টোবরও চলে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন। পরদিন আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

গত ৮ জুলাই সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রতিবাদে জ্বলে হয়ে ওঠে গোটা দেশ। ঘটনার তীব্রতায় বাধ্য হয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জনতার স্বতঃস্ফূর্ত সহায়তায় একে একে গ্রেফতার হয় রাজনের ঘাতকরা।

প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাওয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে খুন করা হয় সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেয়ালি গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে শেখ সামিউল আলম রাজনকে। পরে খুনিরা নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ফেসবুকে আপলোড করলে সারাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। খুনিদের শাস্তির দাবিতে সারাদেশের সচেতন মানুষ আন্দোলনে নামেন।

ছামির/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।