পানির সঙ্গে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে গরুর দুধ বলে বিক্রি, ব্যবসায়ী ধরা
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় পানির সঙ্গে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে নকল দুধ তৈরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন আব্দুর রাজ্জাক (৬০) নামে এক ব্যবসায়ী। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ সময় ২৭০ কেজি নকল দুধ ও দুধ তৈরিতে ব্যবহৃত কেমিক্যাল জব্দ করা হয়।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম এ অভিযান পরিচালনা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রাজ্জাক সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুর হাটি গ্রামের মৃত বিষুরুদ্দিনের ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, গোপন সংবাদে তিনি জানতে পারেন আব্দুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে নিজ বাড়িতে পানির সঙ্গে গুঁড়া দুধ মিশিয়ে গরুর দুধ বলে ঢাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন। সকালে সেখানে অভিযানে গিয়ে নকল দুধ তৈরির সময় তাকে হাতেনাতে ধরা হয়। ২৭০ কেজি নকল দুধ ও দুই কেজি কেমিক্যাল পাউডারসহ তাকে আটক করা হয়। পরে নিরাপদ খাদ্য আইনের ২৫ ধারায় তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। জব্দ দুধগুলো নস্ট করা হয়েছে।
নকল দুধ ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ মণ দুধ ঢাকায় বিভিন্ন মহাজনদের কাছে সরবরাহ করেন। এক মণ পানির সঙ্গে ৫ কেজি ইকোজেড ও ১০০ গ্রাম এরারুড পাউডার দিলেই দুধ তৈরি হয়ে যায়। তার মতো অনেকেই এভাবে দুধ তৈরি করে ঢাকায় পাঠান। স্থানীয় বাজারে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে গরুর দুধ বিক্রি হলেও তৈরি দুধ তারা ঢাকায় বিক্রি করেন ৫০ টাকা কেজিতে। ঢাকায় পাঠানো এক মণ দুধের সঙ্গে ১৫ কেজিই নকল দুধ মেশানো হয় বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক।
বি.এম খোরশেদ/আরএআর/পিআর