নানা-নানির কাছে ফিরল সেই গৃহকর্মী

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ২৪ নভেম্বর ২০২০

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের ফুলপুরে ফেলে যাওয়া গৃহকর্মী রিয়া মনিকে (৯) তার নানা-নানির কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলপুর থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন রিয়া মনিকে তার নানা রমজান আলী ও নানি রহিমা খাতুনের হাতে তুলে দেন।

রিয়া মনি তরাকান্দা উপজেলার ইটাখোলা গ্রামের নুরুল আমিন ও রাবেয়া দম্পতির মেয়ে। সোমবার সকাল ৮টার দিকে মেয়েটিকে ফুলপুর উপজেলা পরিষদে রেখে চলে যান গৃহকর্তা রাসেল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজি বলেন, পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে শিশু রিয়া মনিকে গতকাল রাতেই তার নানা-নানির কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি তার নানা-নানির সঙ্গে আছে।

এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, বছর দুয়েক আগে ঢাকার পোস্তগোলা এলাকায় খালার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল রিয়া মনি। সেখান থেকে সে হারিয়ে যায়। রাসেল নামে এক ব্যক্তি তাকে গৃহপরিচারিকা হিসেবে বাসায় নিয়ে যান। গতকাল সোমবার সকালে ঢাকা থেকে বাসযোগে রিয়াকে ফুলপুর উপজেলা সদরে ফেলে চলে যান রাসেল।

তিনি আরও বলেন, বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন ফুলপুর উপজেলা পরিষদের সামনে কান্নাকাটি করতে থাকে রিয়া। স্থানীয় লোকজন তার পরিচয় জানতে চাইলে সে তার বাড়ি ইটাখোলা গ্রামের নুরুল আমিন ও মায়ের নাম রাবেয়া বলে জানায়। তার মা বেঁচে নেই আর বাবা কোথায় আছে তাও সে জানে না। আর কিছু বলতে না পারায় স্থানীয় লোকজন তাকে আমার কাছে নিয়ে আসে।

পরে আমি ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি ফেসবুক পেজে মেয়েটির নাম এবং ঘটনার বর্ণনা লিখে মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে একটি পোস্ট করি। পাশাপাশি পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হারানো শিশুটির স্বজনদের খোঁজ করতে থাকি। পরে শিশুটিকে নতুন জামা ও শীতবস্ত্র উপহার দিয়ে ফুলপুর থানায় হস্তান্তর করি। বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হলে রিয়ার নানা-নানি বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই ফুলপুর থানায় যোগাযোগ করেন।

মঞ্জুরুল ইসলাম/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।