ধর্ষণচেষ্টার সময় ইমামকে হত্যা, নারীর যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কিশোরগঞ্জ
প্রকাশিত: ০১:১২ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২০

অডিও শুনুন

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ধর্ষণচেষ্টার সময় মসজিদের ইমাম মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় ময়না আক্তার নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই মামলায় ময়নার ভাই মনির হোসেনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ময়নাকে ২ লাখ ও মনিরকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেছেন আদালত।

কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম রোববার সকালে এ রায় দেন। এ সময় দুই আসামি এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই পূর্ব বরাটি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে মিজানুর রহমান কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন।

২০১৬ সালের ১৪ আগস্ট রাত ৩টার দিকে কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর এলাকায় বাজরা-চৌমুড়ি পাকা রাস্তার পাশ থেকে হাফেজ মিজানুর রহমান মিজান নামে ওই ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই মো. নূরুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ কোনাপাড়া গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের স্ত্রী ময়না আক্তার ও তার ভাই মনির হোসেনকে আটক করে।

২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল এ দুজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কোহিনূর মিয়া।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ঘটনার দিন গভীর রাতে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ময়নাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইমাম মিজানুর রহমান মিজান। এ সময় ময়না তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় ইমামের লাশ বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যান।

আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর রায় ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল কুদ্দুস মামলা পরিচালনা করেন।

নূর মোহাম্মদ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।