শার্শায় আ.লীগের ২ কর্মীর সংঘর্ষে গুলিতে আহত ১


প্রকাশিত: ০৪:০১ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫

যশোরের শার্শায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীনদলের দুই কর্মীর মধ্যে এক সংঘর্ষে মোশারফ হোসেন (৩৯) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী ইয়ারগানের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ মোশারফকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকালে শার্শার নাভারন কাজিরবেড় গ্রামে। মোশারফ ওই গ্রামের মৃত বাবর আলী বিশ্বাসের ছেলে। এ ঘটনা শুনে তার মা মানিকজান বিবি (৬০) অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকেও শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শার্শা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জিব চক্রবর্তী জাগো নিউজকে জানান, সোমবার বিকেলে কাজীর বেড় গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মাহাবুবুর রহমান তার বাসার সামনে রাস্তার পাশে টাইলস বসাচ্ছিলেন। ওই কাজে প্রতিবেশি মোশারফ বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাহাবুবুর নিজ ঘর থেকে এয়ারগান এনে ১২ রাউন্ড গুলি করেন। ওই গুলি মোশারফের বুকে, পিঠে ও হাতে লাগে এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। তাকে প্রথমে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

এস আই সঞ্জিব আরও বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে। মাহাবুবের বিরুদ্ধে একাধিক সমাজ বিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মোস্তফা আল রাসেল জাগো নিউজকে বলেন, একটি গুলি বুকের পাঁজরে মাংসের ভেতর হাড়ের কাছে লেগে গেছে। আর একটি গুলি হাতে লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।  

মোশারফের মা মানিকজান বিবি ছেলের আহত হওয়ার সংবাদ শুনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে সংঘর্ষ বাধতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, ঘটনা জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

মো. জামাল হোসেন/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।