মোংলা বন্দরে এখন সরাসরি বড় বড় জাহাজ আসছে
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মোংলা বন্দরসহ এর চারপাশে যে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে তার সবকিছুরই অবদান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে মোংলা বন্দরকে ঘিরে নানা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করেছেন। মোংলা বন্দরের আউটারবারের ড্রেজিং হওয়ার কারণেই এখন বন্দরে সরাসরি বড় বড় জাহাজ আসছে। এছাড়া বন্দর জেটিও জাহাজে পরিপূর্ণ থাকছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মোংলা বন্দর শ্রমিক কল্যাণ চিকিৎসা কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এ বন্দরকে আরও ব্যস্ততম করার উদ্দেশে তার আমলেই তিনি এখানে ইপিজেড নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে চলছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও। পাশাপাশি বন্দরকে অধিকতর গতিশীল করতে মোংলা-রামপালে মাঝামাঝি স্থানে ফয়লায় খান জাহান আলী বিমান বন্দরের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত গতিতে চলছে খুলনা-মোংলা রেল লাইনের কাজও। এছাড়া পদ্মা সেতুতে আর মাত্র তিনটি স্পান বসানো বাকি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাকি স্পান বসানোর পর এ সেতু চালু হলো এ বন্দরের কর্মচঞ্চলতা আরও বেড়ে যাবে। মোংলা বন্দর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতে অর্থনীতিকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করবে এ বন্দর। তাই তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক-কর্মচারীদেরকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এর আগে তিনি পৌর শহরের পুরাতন বন্দর এলাকার বিলুপ্ত ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড কম্পাউন্ডের ভেতরে শ্রমিক-কর্মচারীদের চিকিৎসার জন্য নির্মিত নতুন চিকিৎসা কেন্দ্রের নামফলক উন্মোচন করেন।
এ সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান, পরিচালক (প্রশাসন) গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সেন্টু, বন্দর ব্যবহারকারী মশিউর রহমানসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বন্দর ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ডক শ্রমিক পরিচালনা বোর্ড বিলুপ্তির পর ২০১০ সাল থেকে বন্ধ থাকে শ্রমিকদের হাসপাতালটিও। শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবির প্রেক্ষিতেই পুনরায় দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর হলেও আবারও শ্রমিকদের চিকিৎসাসেবার জন্য নতুন এই সেবা কেন্দ্রটি চালু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মো. এরশাদ হোসেন রনি/এফআর/জেআইএম