চিকিৎসার নামে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ করল কবিরাজ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে চিকিৎসা দেয়ার নামে এক গৃহবধূকে পাঁচদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক কবিরাজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কবিরাজ মকবুল হোসেনকে (৬০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার মোয়াজ্জেম ইউনিয়নের দত্তপুর গ্রামের মৃত কাদির মুন্সির ছেলে।
রোববার (৮ নভেম্বর) রাতে ওই নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করার পর গ্রেফতার কবিরাজকে সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপালগঞ্জ থেকে চিকিৎসা নিতে ময়মনসিংহের নান্দাইলে আসেন ৩৩ বছর বয়সী ওই গৃহবধূ। স্বামীর সঙ্গে ওই গৃহবধূর ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। স্বামীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করার জন্য তিনি মকবুল কবিরাজের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে তার বাড়িতে আসেন। মকবুল কবিরাজ ওই গৃহবধূকে বলেন- সাতদিন তার বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিলে স্বামীর সঙ্গে সুসম্পর্ক হবে।
ওই গৃহবধূ কবিরাজের কথামত পাঁচদিন কানারামপুর বাজারে কবিরাজের বাসায় অবস্থান করেন। এর মধ্যে দুইদিন কবিরাজ চিকিৎসার নামে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে রোববার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ওই নারী কৌশলে পালিয়ে এসে নান্দাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ মকবুল কবিরাজকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে নান্দাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, এ ঘটনায় মামলার পর মকবুল কবিরাজকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঞ্জুরুল ইসলাম/আরএআর/এমকেএইচ