পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনে সহায়তা করবে সরকার

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:২১ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২০

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পলিথিনের ব্যাগের বহুল ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করছে। এজন্য পলিথিনের বিকল্প পাটের ব্যাগ উদ্ভাবনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এজন্য দেশীয় উদ্ভাবকরা এগিয়ে আসলে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, বাসযোগ্য পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যাগের পরিবর্তে পাট ও চটের ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।

শনিবার (৭ নভেম্বর) মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সারাদেশে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে বিভিন্ন ধরনের জনস্বার্থমূলক জলবায়ুসহিষ্ণু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর অংশ হিসেবে বড়লেখা পৌর এলাকায় সৌরবাতি স্থাপনের জন্য দুই কোটি টাকা এবং জুড়ী পর্যন্ত বিভিন্ন বাজার আলোকিত করার জন্য পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের সকল অসহায়, দুস্থ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। যার অংশ হিসেবে বড়লেখা উপজেলায় প্রায় ২৬ হাজার পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেখেন, সেটি বাস্তবায়ন করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ইউরোপ আমেরিকার মতো উন্নত দেশে পরিণত হবে।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম আল ইমরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোয়েব আহমেদ, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম সুন্দর, ভাইস চেয়ারম্যান মো. তাজ উদ্দিন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহানা বেগম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামসুন্নাহার বেগম, সমবায় কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহিদা আক্তার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ‘কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিল’ কর্মসূচির আওতায় ‘হেলথ ক্যাম্প’ উদ্বোধন ও ৪৭৫ জন নারীর মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী এবং সাতজন নারীর মাঝে ১৫ হাজার টাকা করে ক্ষুদ্র ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।

রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সরিষা, সূর্যমুখী, বোরো, গম, ভুট্টা, চিনাবাদাম ও গ্রীষ্মকালীন মুগ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮৭০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেক কৃষক এক বিঘা জমি চাষের জন্য উপকরণ পাবেন।

অনুষ্ঠানে ক্রীড়া পরিদফতর থেকে প্রাপ্ত ক্রীড়াসামগ্রীও বিতরণ করা হয়।

এমইউ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।