শরীয়তপুরে চুরি হওয়া ৩০টি মোবাইল উদ্ধার, গ্রেফতার ৭
শরীয়তপুর শহরের একটি মোবাইলের দোকান থেকে চুরি হওয়া ১৬২টি মোবাইলের মধ্যে ৩০টি মোবাইল ও মোবাইল বিক্রির তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস.এম. আশরাফুজ্জামান নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতাররা হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগর থানার শোলা পুকুরিয়া গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৩০), চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার সিকল বাহার গ্রামের মৃত সমসের আলমের ছেলে আইয়ূব আলী (২৮), ফটিকছড়ি থানার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে লোকমান (২৮), একই থানার রশিদাবাদ গ্রামের জালাল আহম্মেদের ছেলে মিজানুর রহমান (১৯), লোহাপাড়া থানার খলিফাপাড়া গ্রামের মৃত আশরাফ মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান (২৬), রাঙ্গুনিয়া থানার চন্দ্রগোনা মিশন গ্রামের কমল বৈধ্যর ছেলে তুষার বৈধ্য (২৫) ও হাটহাজারী থানার পশ্চিম দোলই গ্রামের ইসলাম তরফদারের ছেলে শাহবুদ্দিন বেলাল (২৫) ।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর কারাগারে পাঠানো হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাতজনই চুরির দায় স্বীকার করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুরি হওয়া ১৬২টি মোবাইলের মধ্যে ৩০টি মোবাইল ও মোবাইল বিক্রির তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এতে জড়িত অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান বলেন, গত ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শরীয়তপুর শহরের পালং উত্তর বাজার সেমন্ত ঘোষের মডার্ন স্মার্ট গ্যালারি দোকান থেকে তালা কেটে ১৬২টি মোবাইল সেট (যার মূল্য ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০ টাকা) চুরি করে নিয়ে যায় ওই চোর চক্র। এ ঘটনায় ওইদিন সেমন্ত ঘোষ বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় মামলা করেন।
শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) এসএম মিজানুর রহমান ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল আলমসহ পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল গত ৩০ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কৌশলে কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলা থেকে ওই সাত আসামিকে গ্রেফতার করে শরীয়তপুরে আনেন।
সংবাদ সম্মেলনে শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) এসএম মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর হায়দার শাওন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) তানভীর আহমদ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল আলম, শরীয়তপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআইও-১ মো. আজহারুল ইসলাম, পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান, শরীয়তপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সামাদ তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ছগির হোসেন/আরএআর/এমএস