বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের পর হত্যা : যুবকের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:৪৯ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২০

বিয়ের প্রলোভনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মানিকগঞ্জে সাদ্দাম মিয়া নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বিকেলে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন এই রায় দেন। ওই মামলার আরও দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। প্রায় ৮ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষণা হলো।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সাদ্দাম মিয়া মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গোবর নার্চি গ্রামের মো. আহম্মেদ আলীর ছেলে।

বেকসুর খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন, সাভারের আশুলিয়ার বাসিন্দা হরিরাম সরকারের ছেলে সম্ভু সরকার এবং ধামরাই এলাকার আমির পালের ছেলে তপু পাল।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর আসামি সাদ্দাম মিয়া জেলার সাটুরিয়া উপজেলার গোলড়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে কলেজছাত্রী তুহিন সুলতানা আক্তার মিমকে নিজ বাড়িতে ধর্ষণ ও পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তার গায়ের স্বর্ণালংকারসহ ঘরে থাকা নগদ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এই স্বর্ণালংকার অপর আসামি সম্ভু সরকার এবং তপু পালের কাছে বিক্রি করা হয়।

এ ঘটনায় মিমের বাবা ছানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরের বছর এই মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

আদালত সাদ্দাম মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও, সম্ভু সরকার ও তপু পালকে বেকসুর খালাস দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যালের পিপি কেএম নুরুল হুদা রুবেল। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন নজরুল ইসলাম বাদশা।

বি.এম খোরশেদ/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।