ধর্ষণচেষ্টা মামলার সাক্ষী হওয়ায় মসজিদের ইমাম বরখাস্ত
পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের এক গৃহবধূর ধর্ষণচেষ্টার মামলায় সাক্ষী হওয়ায় স্থানীয় এক মসজিদের ইমামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ওই ইমামের নাম মোহিদুল ইসলাম। তিনি হাড়িভাসা ইউনিয়নের বড়বাড়ি বাজার জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। এ বিষয়ে ইমাম মোহিদুল ইসলাম বিচার চেয়ে ১৮ অক্টোবর হাড়িভাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে মোহিদুলের বড় ভাই কাজ করতে যান শরীয়তপুরে। তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন তার স্ত্রী। ১৭ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে প্রতিবেশী ফারুক হোসেন (৩২) ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে পালিয়ে যান ফারুক। ওই গৃহবধূ ফারুকের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় সাক্ষী করা হয় দেবর মোহিদুল ইসলামকে।
ওই মামলায় সাক্ষী হওয়ায় মোহিদুল ইসলামকে বড়বাড়ি বাজার জামে মসজিদের ইমামতি থেকে বাদ দেন মসজিদের জমিদাতা মাহাবুব আলম নামের এক স্কুলশিক্ষক।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের পদে না থাকলেও জমিদাতা হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে তিনি ইমামকে বাদ দিয়ে নতুন ইমাম নিয়োগ দেন। ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি ফারুক হোসেনের সঙ্গে মাহাবুবের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
মোহিদুল ইসলাম বলেন, মাসে এক হাজার টাকা বেতনে আমি প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে ইমামতি করতাম। ধর্ষণচেষ্টা মামলায় সাক্ষী হওয়ায় মসজিদের জমিদাতা মাহাবুব আলম আমাকে কিছু না বলেই বরখাস্ত করে অন্য ইমাম এনে নামাজ পড়িয়েছেন। ধর্ষণচেষ্টাকারী ফারুকের সঙ্গে মাহাবুবের ভালো সম্পর্ক হওয়ায় এমন কাজ করেছেন।
এ নিয়ে স্কুলশিক্ষক মাহাবুব আলমের মতামত পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।
হাড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মসজিদের ইমাম সাক্ষী হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আগামী বৃহস্পতিবার দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছে। সেখানে বিষয়টির সমাধান হবে।
সফিকুল আলম/এএম/এমকেএইচ