ফাঁদ পেতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে পিটিয়ে জখম
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৮ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ হামলা চালানো হয়।
এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়া হয় ও বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় হামলাকারীরা।
আহতরা হলেন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া ও সহ-সভাপতি মনির হোসেন মনু।
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের গণসমাবেশ শেষে বাড়ি যাওয়ার সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি।
এ ঘটনায় ধানের শীষের সমর্থক ও বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের দায়ী করেছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আমিন। একই অভিযোগ করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রোববার নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন ছিল। সে লক্ষ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গণসমাবেশ করেন।
সমাবেশ থেকে রাতে বাড়ি যাওয়ার পথে আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজুল ও মনিরের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ সময় সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশের গাছে রশি বেঁধে ফাঁদ পেতে প্রথমে তাদের আটকানো হয়। পরে হামলা চালিয়ে তাদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
একপর্যায়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে ধানের শীষের তোফায়েল আহম্মেদসহ দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কাজল কায়েস/এফএ/জেআইএম