গ্রাহকের ২০ লাখ টাকা নিয়ে এনজিও লাপাত্তা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০৮:৫২ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

কুমিল্লার হোমনায় ঋণ দেয়ার কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে গ্রামীণ সেবা ফাউন্ডেশন নামে একটি এনজিও সংস্থা। এখন তাদের অফিসের দরজায় ঝুলছে তালা। ৫০ হাজার টাকা ঋণ পেতে পাঁচ হাজার ও এক লাখ টাকা ঋণ পেতে ১০ হাজার টাকা জামানত রাখার কথা বলে এলাকার প্রায় ২০০ গ্রাহকের কাছ থেকে এ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে তারা।

এ ব্যাপারে মিশু আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করার পর বিষয়টি প্রশাসন জানতে পারে। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঘটনাটি তদন্তে উপজেলা সমবায় অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভা সদরের প্রবাসী আলাউদ্দিনের বাড়ির দোতলা ভাড়া নিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সদস্য সংগ্রহ ও লোন কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি। এতে লোন দেয়ার নাম করে জামানতের ২০ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে তারা। অফিস বন্ধ পেয়ে গ্রাহকরা অফিসের সামনে ভিড় করছেন।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, বাড়ির মালিক জামানতের দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এসএম আনোয়ারুল ইসলাম ও সুপারভাইজার সানজিদা আক্তার ও সালমা আক্তার গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলেন। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) লোন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার সকাল থেকেই অফিসে তালা দিয়ে তারা সবাই লাপাত্তা। বাড়ির মালিক এখন এর দায়িত্ব নিতে নারাজ। তিনি বলছেন- এদের কোনো ঠিকানা তার জানা নেই।

অভিযোগকারী মিশু আক্তার বলেন, আমাকে ১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৬০ হাজার টাকা জামানত রাখতে বলে। আমি বাড়ির মালিক উম্মেহানি ও তার বোন ফাতেমা আক্তারের সঙ্গে কথা বলে ম্যানেজার এসএম আনোয়ারুল ইসলামের কাছে ৬০ হাজার টাকা জমা দেই। পরে আমাকে দুলালপুর ইউনিয়নের ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের দায়িত্ব দেয়। আমি তাদের কথা অনুযায়ী ১৭ লাখ টাকা লোন দেয়ার জন্য ১৭ জনের কাছ থেকে জামানত হিসেবে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা তুলে অফিসে জমা দেই। শনিবার লোন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে কেউ অফিসে আসেননি, তাদের মোবাইলও বন্ধ রয়েছে। গ্রাহকরা আমাকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এদিকে বাড়ির মালিক এখন বলছেন তাদের নাকি তিনি চিনেন না। তাদের কোনো ঠিকানাও দিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক উম্মেহানি বলেন, এই এনজিওটি আমার বাড়ির দোতলা ভাড়া নেয়ার কথা বলে সাইনবোর্ড লাগিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। আগামী মাসে বাড়ি ভাড়ার চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। তবে কোনো গ্রাহক টাকা-পয়সা জমা দেয়ার ব্যাপারে আমার সঙ্গে আলোচনা করেননি।

হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমন দে জানান, এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কামাল উদ্দিন/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।