স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার ১৪ বছর পর স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে মোশারফ হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক যাবিদ হোসেন এ রায় দেন।
এছাড়াও তার সহযোগী হবিবর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোশারফ হোসেন অনুপস্থিত থাকলেও অপর আসামি হবিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, রংপুর নগরীর মন্থনা এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন তার স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না পাওয়ায় ২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্ত্রী মর্জিনার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। আগুন দেয়ার আগে তার আত্মীয় হবিবর রহমান মর্জিনাকে ধরে রেখেছিলেন। মর্জিনার চিৎকারে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।
সেখানে দুদিন চিকিৎসাধীন থেকে ১৭ অক্টোবর মারা যান মর্জিনা। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশ ও কর্তব্যরত চিকিৎসকের সামনে জবানবন্দিতে মর্জিনা জানান, মোশারফ হোসেন ও হবিবর রহমান মিলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত মর্জিনার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘদিন বিচারকার্য চলার পর আদালত আজ এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পিপি রফিক হাসনাইন বলেন, সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী কাজী আকরাম হোসেন।
জিতু কবীর/আরএআর/এমকেএইচ