বেড়াতে এসে কক্সবাজার সৈকতের বর্জ্য পরিষ্কার করলেন করোনাযোদ্ধারা
বেড়াতে এসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন চট্টগ্রামের করোনা আইসোলেশন সেন্টারের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবসের বিকেলে বালিয়াড়িতে হাঁটতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা দেখে তা পরিষ্কারে নেমে যান চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টারের চিকিৎসক, নার্স এবং স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ঝাঁক স্বেচ্ছাসেবক। এ সময় বোতল, প্লাস্টিক, অপচনশীল পদার্থসহ কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসা বিপুল পরিমাণ বর্জ্য জড়ো করেন তারা।
চট্টগ্রাম করোনা আইসোলেশন সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক নুরুল আজিম রনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে নানা বয়সী এক ঝাঁক মানুষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে কাজ করেছি। দীর্ঘদিন কাজ করতে গিয়ে পেয়ে বসা একঘেয়েমি কাটাতে কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে আসা। বালিয়াড়িতে হাঁটতে গিয়ে দেখি ভেসে আসা নানা ধরনের বর্জ্য সৈকতকে দুষিত করেছে। এসব বর্জ্যের বেশিরভাগই বোতলজাত ও প্লাস্টিক দ্রব্য। কক্সবাজার সৈকত আমাদের জাতীয় সম্পদ। এটি রক্ষার দায়িত্ব সবার। পর্যটকদের উচিত নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা। পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে দেশের পর্যটন শিল্পকে কার্যকরভাবে তুলে ধরা দরকার।
করোনা মহামারির ধাক্কায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত খাত হিসেবে অনিশ্চয়তার সামনে দাঁড়িয়ে এ বছর পর্যটন দিবস পালিত হয়। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে ‘পর্যটন ও গ্রামীণ উন্নয়ন’।
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ডা. হাসিবুল ইসলাম, ডা. সাদ্দাম হোসেন, ডা. রাসেল, সেবিকা সায়মা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক টিম লিডার মিজানুর রহমান মিজান, ঐশিক পাল জিতু, শিহাব আলী চৌধুরী, অমিত চক্রবর্ত্তী, মোহাম্মদ আরিফ উদ্দীন, রায়হান উদ্দীন, যুবরাজ দাস, নাহিদুল আলম, জামশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ রাকিব, শাহাদাত হোসাইন, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দীন মামুনসহ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন। সৈকত পরিষ্কার শেষে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন চট্টগ্রামের এই করোনা যোদ্ধারা।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/জেআইএম