ঈশ্বরদীতে আ.লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা-গুলি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ১১:০০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজুল তলা ও সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তবে এতে কেউ হতাহত হননি। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দুটি মামলা করা হয়েছে। এতে মোট ১০১ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি কর্মীদের ভয় দেখাতে ও হয়রানি করতে এই মামলা করা হয়েছে।

তবে পুলিশ বলছে, আসামিরা বিএনপির কি-না তা তারা জানেন না। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে কার্যালয় দুটি জনশূন্য ছিল। এ সময় মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত কার্যালয়ে যায়। তারা ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকলে কার্যালয়ের আশপাশে থাকা সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে তারা কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। রাত ৩টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। পরে পুলিশ গেলে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সেখ নাসির উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে দুটি মামলা হয়েছে। ঈশ্বরদীর সাহাপুরের আজিজল তলা নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা মুরাদ মালিথা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এই মামলায় ২৮ জন নামীয় এবং ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ছলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর স্কুল সংলগ্ন নির্বাচন অফিসে হামলার ঘটনায় আমজাদ হোসেন ২৮ জনকে নামীয় এবং ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। তবে এই মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে ওসি জানান।

পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার ঘটনা সাজানো আর বিএনপি কর্মীদের আসামি করে বাড়িছাড়া করা পূর্বপরিকল্পিত। এখন এ মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হবে। তিনি এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলার নিন্দা জানান।

এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস তার দুটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর ও গুলি বর্ষণের তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে গুলির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আগামী ২৬ তারিখে ব্যালটের মাধ্যমে ওই বুলেটের জবাব দেয়া হবে।

ওসি সেখ নাসির উদ্দিন বলেন, মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে কি-না আমরা জানি না। মামলার তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি এবং হয়রানিও করা হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুর পর পাবনা-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস, বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব এবং জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।