চেয়ারম্যানের সালিশের পরও তিনজনকে কুপিয়ে জখম
পটুয়াখালীর দশমিনায় জমিজমা বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের তিন জনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। রোববার বিকেলে (২০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বেতাগী সানকিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, বিপুল দাস (৩৮), তার স্ত্রী দিপালী রানি (৩৮) ও তাদের ছেলে মিঠুন দাস।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে আহত বিপুল দাসের ভাই শিপলু দাস জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ বাদল ধুপি নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আমাদের জমিজমা বিরোধ চলে আসছিলো। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বেতাগী সানকিপুর এলাকায় বিরোধীয় জমিতে চেয়ারম্যান সালিশ করে আমিন দিয়ে জায়গা নির্ধারণ করে দেন। সালিশকারীদের দেখানো জায়গায় বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি কাটা শুরু করি। এরপরও বিকেলে বাদল ধুপি তার বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ভাই বিপুল দাস (৩৮), ভাবি দিপালী রানি (৩৮) ও ভাগিনা মিঠুন দাসের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে আমি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি।
২নং বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুল আলম বলেন, আদালত থেকে উভয় পক্ষের ছলেনামা আছে। আমি সালিশ করে আসার পরও মারামারি করে ভালো করেনি। এটা আমার কাছে লজ্জাজনক।
বাদল ধুপির ভাই তপন ধুপি বলেন, গতকাল চেয়ারম্যান সালিশ করে গেছে। এরপর মারামারি হয়। তবে কোনো কোপাকুপি হয়নি।
দশমিনা মেডিকেল অফিসার প্রিয়াঙ্কা রানী বলেন, গুরুতর আহত হওয়ায় আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে দশমিনা থানার ওসি মো. জসিম বলেন, জমিজমা বিরোধের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/জেআইএম