রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবে হামলা, আটক ২

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৮:১৮ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার দুপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় পুলিশি তৎপরতায় প্রেসক্লাবে অবস্থান করা সাংবাদিকরা রক্ষা পেয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তোফায়েল আহমেদ আলমাছ মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করেছে। তারা হলেন, উপজেলার দড়িকান্দি এলাকার আলী হোসেনের ছেলে দিলিপ ও সরকারপাড়া এলাকার নঈমুলের ছেলে সাব্বির।

খবর পেয়ে রূপগঞ্জের শতশত মানুষ আলমাছ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের অবস্থান নেয়। পরে প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে আলমাছ চেয়ারম্যানের নানা অপরাধের সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকাশ করার পর তিনি রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্যদের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। মাঝে মাঝে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের তিনি ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর জের ধরেই মঙ্গলবার দুপুরে এ হামলা করা হয়।

সাংবাদিকরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে প্রেসক্লাবের কার্যালয়ের সামনে সশস্ত্র অবস্থায় আলমাছ বাহিনীর সন্ত্রাসী সাদ্দাম, তাহের, সুমন, দিলীপ, সিব্বিরসহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন অবস্থান নেয়। এরপর সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ শুরু করে। এসময় সন্ত্রাসীরা কর্মরত সাংবাদিকদের কয়েক ঘণ্টাব্যাপি অবরুদ্ধ করে রাখে।

দুপুর একটার দিকে আলমাছ চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী প্রেসক্লাব কার্যালয়ে হামলা চালায়। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আলমাছ সটকে পড়ে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী ধাওয়া করে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।

হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর আব্দুল আলীমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা (গ-সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার মাহিন ফরাজি, রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান, সাংবাদিক সাত্তার আলী সোহেল, খলিল সিকদার, জিএম সহিদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ মাসুম, মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভিপি সাইফুল ইসলাম তুহিন, জিএস সাদিকুৃল ইসলাম সজিব, ইউপি সদস্য আলম হোসেন প্রমুখ।

এ সময় মীর আব্দুল আলীম বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রেসক্লাব সন্ত্রাসীদের জায়গা নয়। প্রয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবে টানা কর্মসূচি দেয়া হবে।

রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার প্রদান করা হবে। প্রয়োজনে সাংবাদিকদের পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়ি পৌঁছে দেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা (গ-সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার মাহিন ফরাজি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রেসক্লাবে কাউকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। চেয়ারম্যান আলমাছ জড়িত থাকলে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।

মীর আব্দুল আলীম/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।