চেয়ারম্যান ফনু হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ফজলার রহমান ফনু (৫৯) হত্যা মামলার রায়ে ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আদালত কারাদাণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেন । এছাড়াও খালাস দেয়া হয়েছে অপর সাত আসামিকে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফনু উপজেলা সদরে সমন্বয় সভা শেষে ভাতিজা জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে একই মোটরসাইকেলে করে কলম ইউনিয়ন পরিষদে যাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলার সাঈল গ্রামের শাহপাড়া এলাকায় তিনি পৌঁছালে প্রতিপক্ষ করিম ও তার অনুসারীরা ফনুকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে।
এ সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন ফনু চেয়ারম্যান। পরে তাকে কুপিয়ে মারাতকভাবে আহত করা হয়। সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল চালক ফনুর ভাতিজা জাহিদুল ইসলামকেও (২৫) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নাটোর জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চেয়ারম্যান ফনুকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ফটিকসহ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই মাইনুল হক ফনু।
এরপর গত বছরের ১০ নভেম্বর মামলাটি রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এ মামলার ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রায় ঘোষণা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অঙ্কুর সেন ও মিজানুর রহমান।
শাহারিয়ার অনতু/এসএস/এমএস