বিকাশ করলেই মেলে চুরি যাওয়া মিটার

জাহিদ খন্দকার জাহিদ খন্দকার গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

অডিও শুনুন

গত এক মাসে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় এক ডজন বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চক্রের একটি শক্তিশালী দল মিটার চুরি করে তাদের ফোন নম্বর রেখে যায়। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে বিকাশে টাকা পরিশোধের মাধ্যমে মিটারটি আবার ফেরতও পাওয়া যায়। এসব মিটার চুরির সঙ্গে পল্লীবিদ্যুতের নিজস্ব লোক জড়িত বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা। আর পুলিশ বলছে প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর ধরা হবে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সেচ ও চাতাল কলে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটছে। মিটার চুরির পর মিটারের স্থানে রেখে যাওয়া হয় চোরের মোবাইল নম্বর। সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়। পরে তাদের দেয়া বিকাশ নম্বরে টাকা দিলে চোরের দেয়া ঠিকানায় মেলে চুরি হওয়া মিটার।

mitter-(3).jpg

সাঘাটা গোরের পাড়া গ্রামের মো. শাহিন আলম বলেন, আমার মিটার হারানোর পরে মিটারের স্থানে রেখে যাওয়া নম্বরটিতে ফোন দিই। তারা ১০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি থানায় অবগত করার পরও কোনো প্রতিকার মেলেনি। এরপর চোরের দেয়া একটা বিকাশ নম্বরে ৮ হাজার টাকা দেয়ার পর মিটার উদ্ধার হয়।

সাঘাটা বোনারপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. মোখছেদুর রহমান বলেন, আমার মিটার চুরির পর থানায় জিডি করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। চোরের সঙ্গে ৫০ বারের বেশি মোবাইলে কথা হয়েছে। তারা টাকা ছাড়া মিটার দিতে রাজি হয়নি। পরে চোরের বিকাশ নম্বরে ৬ হাজার টাকা দেয়ার পর তাদের দেয়া ঠিকানায় নির্দিষ্ট স্থান থেকে মিটার উদ্ধার করি।

সাঘাটার কামালের পাড়া ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জয়নুল আবেদীন দাবি করেন, মিটার চুরির সঙ্গে পল্লী বিদুতের লোকজন জড়িত। কেননা ফোন নম্বর ব্যাবহার করে মিটার চুরির পরও কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।

mitter-(3).jpg

এ বিষয়ে গাইবান্ধা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার ছানাউল্লাহ বলেন, মিটার চুরি হলে আমরা গ্রাহককে থানায় জিডি করতে বলি। জিডির কপি জমা দিলে আবারও তাদের মিটার দেয়া হয়। এক্ষেত্রে কিছুটা কম টাকা নেয়া হয় তাদের কাছ থেকে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে কারা এই চুরির সঙ্গে জড়িত। মানুষ সন্দেহে অনেক কিছুই বলতে পারে।

চুরি থামাতে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কথা বললে সাঘাটা থানার পুলিশ তদন্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, যেহেতু মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির ঘটনা ঘটছে তাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর ধরার ব্যবস্থা করা হবে।

এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।