রংপুরে ইউএনওদের নিরাপত্তায় আনসার সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ
রংপুর বিভাগের আট জেলার ৫৮টি উপজেলায় কর্মরত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নিরাপত্তায় ১০ জন করে সশস্ত্র অঙ্গীভূত আনসার সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর রংপুর রেঞ্জ পরিচালক একেএম জিয়াউল আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে প্রতিটি জেলা কমান্ড্যান্টকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, রংপুর বিভাগের আট জেলার (রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও) ৫৮টি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে একজন পিসি, একজন এপিসি ও আটজন আনসারসহ মোট ১০ জন করে সশস্ত্র অঙ্গীভূত আনসার সদস্য মোতায়েন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
পত্রে সূত্র হিসেবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালকের ফোন কলের উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওয়াহিদা খানমকে দেখতে যান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় তাদের সরকারি বাসভবনে আনসার সদস্য নিয়োগ করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৫ মিনিটের দিকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, শঙ্কামুক্ত নন তিনি।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের উপপরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম জানান, ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। আগের চেয়ে অবস্থা কিছুটা উন্নতি বলা যায়, তবে তিনি এখনো শঙ্কামুক্ত নন।
ইউএনও ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নেয়ার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বার্তায় মন্ত্রী এই পৈশাচিক হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি করেন।
জিতু কবীর/বিএ