বিজিবি রাঙামাটি সেক্টরের ৩৯ বছর পূর্তি
গৌরবের দীর্ঘ ঊনচল্লিশটি বছর পার করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) রাঙামাটি সেক্টর।
রোববার এক আড়ম্বরপূর্ণ ও জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে বিজিবি রাঙামাটি সেক্টরের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দুপুরে সেক্টর সদর দফতরের সৈনিক মেসে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা ও প্রীতিভোজে অংশ নেন চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশিষ রায়, রাঙামাটির সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদার, স্থানীয় নারী সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন, রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র, সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল করিম ও সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. শওকত ওসমান, রাঙামাটি পুলিশ সুপার সাইদ তারিকুল হাসানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
সন্ধ্যায় ‘সীমান্তে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা’ নামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বিজিবির রাঙামাটি সেক্টরের দেয়া এক প্রেসনোটে জানানো হয়, ১৯৭৬ সালের ১ নভেম্বর রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারে দু’ব্যাটালিয়ন মারিশ্যা ও কাপ্তাই নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে রাঙামাটি সেক্টরটি। বর্তমানে রাঙামাটি সেক্টরের অধীনে চারটি বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন রয়েছে। সেগুলো হলো, ১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন রাজনগর, ১৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন ওয়াছড়া (কাপ্তাই), ২২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বরকল এবং ২৫ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন ছোটহরিণা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৭৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার দায়িত্ব পালন করছে রাঙামাটি সেক্টরের অধীন ব্যাটালিয়নগুলো। সেক্টরটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক বাণীতে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ সেক্টরের দায়িত্বে নিয়োজিত সব অফিসার, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সৈনিকদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান।
প্রেসনোটে আরও জানানো হয়, রাঙামাটি সেক্টরের অধীনে চার ব্যাটালিয়নের সমন্বয়ে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান দমন, নারী ও শিশু পাচাররোধ, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কর্তব্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের “অপারেশন উত্তোরণ” কার্যক্রমে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করে চলেছে। কেবল গত এক বছরে রাঙামাটি সেক্টরের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে চোরাই কাঠসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি আটক করতে সক্ষম হয়।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/এমএএস/আরআইপি