নথি জালিয়াতি মামলায় নওগাঁ জেলা পরিষদ সদস্য কারাগারে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৫:১১ এএম, ২৭ আগস্ট ২০২০

নওগাঁয় আদালতের নথি জালিয়াতির মামলায় জেলা পরিষদের সদস্য জহুরুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৬ আগস্ট) নওগাঁ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫-এর বিচারক সোহেল রানা এ নির্দেশ দেন।

এদিকে মামলার শুনানি শেষে এজলাসকক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় শাহানূর ইসলাম নামে এক আইনজীবীকে জহুরুলের ছেলে জোবায়ের হোসেন (২৩) মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচারকের নির্দেশে জোবায়ের হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। জহুরুল ইসলাম জেলার বদলগাছী উপজেলার বারফলা গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।

মামলার আরজি ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে আইনজীবী শাহানূর ইসলাম, তার চাচা খাজাম উদ্দিন ও রিপন হোসেনের বিরুদ্ধে বদলগাছী থানায় মামলা করেন জহুরুল। এ মামলার শুনানির পর ৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে আদালত সমন জারি করেন। এই সমন আসামিদের কাছে বদলগাছী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাহাবুর রহমানের পৌঁছে দেয়ার কথা। কিন্তু মাহাবুর আসামিদের বাড়ি না গিয়ে সমনটি পেয়েছেন বলে খাজাম উদ্দিনের স্বাক্ষর জাল করে আদালতে নথি জমা দেন। আসামিরা আদালতে নির্দিষ্ট দিনে হাজির হতে না পারায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

সমনে খাজাম উদ্দিনের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে মর্মে- আইনজীবী শাহানূর আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন। এ অভিযোগ আমলে নেন আদালত। আদালতের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে ২০১৮ সালের ৬ মে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন।

২০১৯ সালের ১৫ জুলাই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে নথি জালিয়াতির অভিযোগে মামলা করেন। এতে এসআই জুবায়ের, এএসআই মাহাবুর ও জেলা পরিষদের সদস্য জহুরুলকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয় কৃষ্ণকর ঘটনাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আদালতে এএসআই মাহাবুর ও জহুরুলকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই দিনই আদালত তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সমন পেয়ে আদালতে হাজির হলে ৯ ফেব্রুয়ারি এএসআই মাহাবুরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একইসঙ্গে জহুরুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এ মামলায় বুধবার আদালতে জহুরুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে বিচারক সোহেল রানা জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে আইনজীবী শাহানূর ইসলাম মামলার শুনানি শেষে এজলাসকক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় বারান্দায় তার ওপর হামলা করলে জোবায়েরকে আটক করে পুলিশ।

নওগাঁ আদালত (জিআরপি) পুলিশের পরিদর্শক ফিরোজ হোসেন বলেন, জোবায়ের হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আব্বাস আলী/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।