উপকূলীয় বাঁধ রক্ষার দাবিতে পাউবো অফিস ঘেরাও

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরা
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২০

সাতক্ষীরায় উপকূলীয় বাঁধ রক্ষা ও পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষকে বাঁচাতে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অফিস ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছে নাগরিক কমিটি। বুধবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পাউবো অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবলুর পরিচালনায় মানবন্ধনে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু আহম্মেদ, জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, কমিটির সদস্য এম কামরুজ্জামান, জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার শীল প্রমুখ।

‍satkhira

বক্তারা বলেন, উপকূলের বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জেলার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী সরকারের সব ধরনের উদ্যোগের পরও সাতক্ষীরাসহ উপকূলের মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। ঝড়ের পরপরই প্রতিমন্ত্রী ও সচিবসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের অনেকেই এই এলাকা পরিদর্শন করেন। এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ করা, দ্রুত বাঁধ নির্মাণসহ সব ধরনের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়। স্থানীয় জনসাধারণ স্বেচ্ছাশ্রমে নিজেরা অর্থ দিয়ে বাঁশ, বস্তা, পেরেক কিনে জেলার বড় ধরনের তিনটি পয়েন্ট ছাড়া সকল স্থানে রিং বাঁধ নির্মাণ করে নদীর পানি প্রবেশ বন্ধ করে।

‍satkhira-1

বক্তারা আরও বলেন, বাঁধ ভাঙার পর ডিপিএম’র মাধ্যমে ইমার্জেন্সি কাজ করার জন্য নতুন করে ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়। কিন্তু ইমার্জেন্সি কাজের ও পূর্বনির্ধারিত অধিকাংশ ঠিকাদার এলাকার কোনো কাজ করেননি। এর ফলে জোয়ারের পানির চাপে পূর্বের ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো নতুন করে ভেঙে দুর্বিসহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এসব থেকে পরিত্রাণ চাই।

মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।

আকরামুল ইসলাম/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।