সঙ্গী পেল বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের নীলগাইটি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক শ্রীপুর (গাজীপুর)
প্রকাশিত: ১০:৫১ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২০

গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের মাদি নীলগাইটি দীর্ঘদিন পর অবশেষে সঙ্গী খুঁজে পেল। সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দিনাজপুরের রামসাগর বিনোদন কেন্দ্রে একাকী হয়ে পড়া পুরুষ নীলগাইটিকে বুধবার সাফারি পার্কে আনা হয়। বর্তমানে এই প্রাণীটিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় পর সঙ্গীর সঙ্গে তাকে মিলিত করা হবে। পার্ক কর্তৃপক্ষের আশা এতে বিলুপ্ত নীলগাইয়ের বংশবৃদ্ধি হবে।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রজাতির নীলগাই অনেক আগেই আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) লালতালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে একটি মাদি নীলগাই উদ্ধার করে রামসাগর উদ্যানে আনা হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি নওগাঁর জোতবাজার থেকে উদ্ধার করা হয় একটি পুরুষ নীলগাই। পরে বংশবৃদ্ধির জন্য স্ত্রী ও পুরুষ নীলগাইকে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে রাখা হলেও ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ মাদি নীলগাইটি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় একা হয়ে পড়ে পুরুষ নীলগাই।

jagonews24

এদিকে চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে কাঁদায় আটকে থাকা একটি মাদি নীলগাই উদ্ধার করে বিজিবি। পরে বনবিভাগের সহায়তায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আনা হয়।

সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপারভাইজার আনিসুর রহমান বলেন, নীলগাই বিলুপ্ত প্রজাতির বন্যপ্রাণী। গাই হিসেবে পরিচিত হলেও নীলগাইটি কখনও গরু শ্রেণির নয়। বরং এটি এশিয়া মহাদেশের অ্যান্টিলুপ প্রজাতির সর্ববৃহৎ হরিণবিশেষ প্রাণী। ঘাস, শস্য এবং কাঠজাতীয় তৃণ খেতে এরা বেশি ভালোবাসে। এরা ছোট ঝোঁপ বা বিক্ষিপ্ত গাছের মধ্যে থাকতেও পছন্দ করে।

তিনি বলেন, প্রায় শত বছর পূর্বে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় নীলগাই দেখা যেত। নানা তথ্যমতে সর্বশেষ ১৯৪০ সালের দিকে শেষ নীলগাই দেখা দিয়েছিল। দেশে এখন নীলগাইয়ের সংখ্যা দুইটি। নারী ও পুরুষ নীলগাই একত্রে রাখার ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বংশবৃদ্ধির সুখবর আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

শিহাব খান/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।