জামিনে মুক্তি পেয়েই গণধোলাইয়ের শিকার হলেন ফিটিং শাহীন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ০৯:৫২ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২০
প্রতীকী ছবি

নাটোর শহরের কানাইখালী এলাকার শেফা ক্লিনিকে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হলেন শাহীন আলম ওরফে ফিটিং শাহীন। ঘটনাটি রোববার বেলা ১১টার।

শেফা ক্লিনিকের অংশীদার প্রত্যক্ষদর্শী এবং ক্লিনিক মালিক পলাশ ও জাহিদ জানান, সদ্য কারামুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ শাহীন আলম কয়েকদিন ধরে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে আসছিল।

সকালে দাবিকৃত টাকা নেয়ার জন্য ক্লিনিকে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে স্থানীয় জনসাধারণ তাকে গণধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। এ সময় পুলিশ এলেও তাকে আটক না করে ছেড়ে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা।

এ সময় সেখানে উপস্থিত জাকির হোসেন জানান, নাটোর শহরের শেফা ক্লিনিকের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপচিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে আমার স্ত্রীর সিজার করতে গিয়ে অপ্রশিক্ষিত ডাক্তারের কারণে জরায়ু কেটে ফেলা হয়। পেটেই মারা যায় বাচ্চাটিও। এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে নাটোর সদর থানায়।

এদিকে সেখানে উপস্থিত ফিটিং শাহীন জানান, আমি কিছু করিনি। শেফা ক্লিনিকে অপচিকিৎসার প্রতিবাদ করায় আমাকে ক্লিনিক মালিকের ভাড়া করা লোকজন মারপিট করেছে ।

নাটোর থানা পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই পুলিশ পরিচয়ে রাজশাহী থেকে নাটোরে বেড়াতে যাওয়া এক পর্যটককে প্রতারিত করতে তল্লাশির সময় শাহিন ওই পর্যটকের ব্যাগে ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনাটি ইমতিয়াজ দিপন নামে এক যুবক ফেসবুকে লাইভ করলে মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয় এবং পুলিশ ফিটিং শাহীনকে গ্রেফতার করে। শাহীন আলম (২৮) সদর উপজেলার উলিপুর আমহাটি এলাকার সমশের আলীর ছেলে।

রেজাউল করিম রেজা/এমএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।