বিয়ের কথা বলে গার্মেন্টসকর্মীকে বন্ধুদের নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ০৯:৪৩ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২০

নাটোরে বিয়ের কথা বলে এক গার্মেন্টসকর্মীকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিকসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত দু'দিন অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। রোববার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা গণধর্ষণের ঘটনা এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা হলেন- হরিশপুর এলাকার সাদিক শেখের ছেলে সাদ্দাম-২৬, হানিফ-মন্ডলের ছেলে ফারুক মন্ডল-২৭, আব্দুল কাদেরের ছেলে রুবেল পাটোয়ারী এবং পাটুল গ্রামের বাসের ড্রাইভার রাশেদ মিয়া-২৫।

পুলিশ সুপার জানাান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালি কদমতলী গ্রামের একটি গার্মেন্টসে কাজ করতো। আরপি পরিবহনে যাতায়াতের পথে হেলপার রাশেদুলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১০ আগস্ট রাশেদুল গার্মেন্টসকর্মীকে বিয়ের প্রলাভন দেখিয়ে নাটোরে ডেকে নিয়ে হরিশপুর এলাকার আব্দুল্লাহর বাড়িতে তোলে।

jagonews24

এরপর তাদের একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এ অবস্থায় গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় রাশেদুল বেড়ানোর কথা বলে গার্মেন্টসকর্মীকে হরিশপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বের হয়। এরপর সাদ্দাম, রুবেল ও ফারুক দুটি মোটরসাইকেলে তাকে নিয়ে ইউনিয়নের রাজিবপুর গ্রামের একটি পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যায়। এসময় তার ব্যাগে রাখা নগদ ৫ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে সেখানে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

পরে রুবেল মোটরসাইকেলে গার্মেন্টসকর্মীকে হরিশপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসে উঠিয়ে দেয়ার জন্য এলে তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে রুবেল মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে গার্মেন্টসকর্মী বাদী হয়ে নাটোর থানায় মামলা করলে গত ১৫ আগস্ট সাদ্দাম, ফারুক ও রুবেলকে গ্রফতার করা হয়।

অপরদিকে রোববার সকালে চালক রাশেদ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গ্রেফতারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

রেজাউল করিম রেজা/এমএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।