সুন্দরবনে ট্রলারসহ ৭ হরিণ শিকারি আটক
সুন্দরবনে হরিণ শিকারের প্রস্তুতিকালে সাত শিকারিকে আটক করেছে বন বিভাগ। শনিবার ভোরে বাগেরহাটের পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী অভয়ারণ্য কেন্দ্রের পক্ষীরচর থেকে তাদের আটক করা হয়।
শিকারিদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, ২০০ হাত নাইলনের দড়ির ফাঁদ, ২০০ হাত ইলিশের জালসহ হরিণ শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক শিকারিরা হলেন- বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রামের মুনসুর বিশ্বাসের ছেলে মো. ইব্রাহীম বিশ্বাস (৪০), তার ছেলে ইউনুছ বিশ্বাস (১৮), ইসমাইলের ছেলে মো. মোস্তফা (৩০), তালুকচরদুয়ানী গ্রামের হাবিব মোল্লার ছেলে রাজু মোল্লা (২৫), উত্তর কাঁঠালতলী গ্রামের আ. হামিদের ছেলে ইলিয়াস (৩০), সায়েরাবাদ গ্রামের আ. হকের ছেলে শুকুর আলী ও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার নলী গ্রামের সালাম কাজীর ছেলে মো. জাকির কাজী (৩৮)।
সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সুন্দরবনের সংঘবদ্ধ একটি হরিণ শিকারিচক্র প্রবেশ করার গোপন সংবাদ পায় বনরক্ষীরা। ভোরে জ্ঞানপাড়া টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদিক মাহমুদের নেতৃত্বে বনরক্ষীরা পক্ষীরচরে অভিযান চালায়।
এসময় ওই চরের একটি খালের মধ্যে ট্রলারটি দেখতে পেয়ে তারা চ্যালেঞ্জ করলে ট্রলারে থাকা জেলে ছদ্মবেশী শিকারিরা বন বিভাগের কোনো পাস-পারমিট দেখাতে না পারায় তাদের আটক করা হয়।
আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হরিণ শিকারের উদ্দেশ্যে বনে প্রবেশের কথা স্বীকার করে। বনরক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা পাথরঘাটা উপজেলার জ্ঞানপাড়া এলাকার হরিণ শিকারি চক্রের গডফাদার মালেক গোমস্তার দলের সদস্য বলেও স্বীকার করেছে। শিকারিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে।
এমএএস/জেআইএম