শেরপুরে ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার


প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

শেরপুর শহরের নওহাটা এলাকায় অবস্থিত শেরপুর ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (সিস্ট)  ছাত্রাবাস থেকে মো. পারভেজ আলম (২০) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্রাবাসের নিজকক্ষে গলায় গামছা পেঁচানো ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সদর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহত পারভেজ আলম টাঙ্গাইল জেলা সদরের পুঙলী ব্রিজ এলাকার ডিপিডিসি কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজের ছেলে এবং সিস্ট কলেজের কম্পিউটার ট্রেডে ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করতে পারে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ছাত্রাবাসের একই কক্ষের দুই রুমমেট শুভ মিয়া ও ফিরোজ মিয়াসহ অবস্থান করছিল পারভেজ আলম। আলাপচারিতার একপর্যায়ে পারভেজকে ওই কক্ষেই রেখে শুভ ও ফিরোজ গোসল করতে যায়। গোসল সেরে ফিরে তারা ওই কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ দেখতে পায়।

পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হলে তারা অনেক ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে দেয়াল ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করে পারভেজকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।

কলেজ পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা মো. আব্দুস সোবাহান জানান, পারভেজ আগে থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। প্রায় সময়ই সে গম্ভীর থাকাসহ নিজেকে আলাদা রাখত।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে।

তবে বিষয়টি তদন্ত করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

হাকিম বাবুল/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।