উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের ইয়াবা সেবনের ছবি ভাইরাল
কুমিল্লার তিতাস উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা (উত্তর) জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহাম্মদ ফকিরের ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
এ নিয়ে দলীয় ফোরাম ও সচেতন মহলে তীব্র সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ তাকে দল ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। তবে ফরহাদ আহাম্মদ ফকির বলেছেন এটা তার বিরুদ্ধে একটি পরিকল্পিত চক্রান্ত।
জানা যায়, গত সোমবার রাত থেকে প্রথমে ফরহাদ আহাম্মদ ফকিরের ইয়াবা সেবনের ছবি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ফেসবুকে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য লিখেছেন।
ছবিতে দেখা যায়, সাদা গেঞ্জি ও পাজামা পরিহিত ফরহাদ আহাম্মদ ফকির ইয়াবা সেবন করছেন। যদিও এ ছবিটি সাজানো ও পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ফরহাদ জানান, এ ছবি ও ভিডিও দুই বছর আগের। এটা বন্ধুরা মিলে দুষ্টুমি করার সময় নেয়া। এটা প্রকৃতপক্ষে ইয়াবা সেবন ছিল না। এখন পরিকল্পিতভাবে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতে একটি মহল চক্রান্ত হিসেবে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে তিতাস থানা পুলিশের ওসি সৈয়দ আহসানুল ইসলাম বলেন, ফরহাদ ফকিরের ইয়াবা সেবনের ভিডিও আমি দেখেছি। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এ বিষয়ে কুমিল্লা (উত্তর) জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউছার অনিক বলেন, আমরা একসাথে রাজনীতি করি, আমি তো ফরহাদকে কোনো দিন ইয়াবা সেবন করতে দেখিনি। কোনো অবস্থার প্রেক্ষিতে এবং কখন কারা এ ছবি নিয়েছিল তা দেখার বিষয়। তাছাড়া এ বিষয়ে জেলা কমিটির কিছুই করার নেই। বিষয়টি হয়তো কেন্দ্রীয় কমিটি দেখবে।
কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বলে আসছি তিতাস-হোমনায় কোনো মাদক থাকবে না। ভাইস চেয়ারম্যানের ইয়াবা সেবনের ভিডিও আমিও দেখেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তদন্ত করে জানানোর জন্য বলেছি। তদন্তে প্রমাণিত হলে উপজেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন ও মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
কামাল উদ্দিন/এমএএস/এমকেএইচ