সাত কসাইয়ের কাণ্ড!

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৯:৩৯ এএম, ০৮ আগস্ট ২০২০

‘রোগাক্রান্ত গরু জবাই না করে চিকিৎসা করাবেন’ রাতে মেয়র ও পুলিশের কাছে এমন প্রতিশ্রুতি দিলেও সকালেই কসাইরা তা ভঙ্গ করেছেন। শুক্রবার (৭ আগস্ট) ভোরে তারা গরুটিকে জবাই করে মাংস বিক্রি করেছেন। পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে ।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে ভাঙ্গুড়া বাজার বেইলি ব্রিজ এলাকার ‘ভাই ভাই মাংস ভান্ডার’ এর সাত কসাই পাবনার ফরিদপুর উপজেলার চড়পাড়া গ্রামের জনৈক ব্যক্তির বাড়ি থেকে একটি অসুস্থ গরু ৩২ হাজার টাকায় কেনেন। গরুটির ওজন প্রায় চার মণ। রাতে তারা গরুটি জবাই করতে ব্যর্থ হয়ে শুক্রবার গোপনে জবাই করে মাংস বিক্রি করেন। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

পুলিশ জানায়, ভাঙ্গুড়া বাজারের কসাই মানিক হোসেন,আজমত আলী, মোন্নাফ আলী, আব্দুস ছাত্তার, নয়ন হোসেন, বাচ্চু মোল্লা ও নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা বাসস্ট্যান্ডের পাশে পিলখানায় একটি অসুস্থ গরু জবাই করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ উপস্থিতি হলে তারা গরুটি রেখে তারা পালিয়ে যান। কিছু সময় পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল।

মেয়র কসাই সর্দার মানিককে ফোনে ডেকে আনেন। তিনি এবং ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) নাজমুল হক গরুটির অসুস্থতার বিষয় নিশ্চিত হয়ে গরুটিকে চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দেন। কসাইরা গরুটি জবাই না করে চিকিৎসা করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সাত কসাই মিলে শুক্রবার সকালে ওই অসুস্থ গরুটি জবাই করে মাংস বিক্রি করে দেন।

অসুস্থ গরু জবাই ও মাংস বিক্রির বিষয়ে কসাই মানিক হোসেন বলেন, জনৈক পল্লী চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে গরুটি জবাই ও মাংস বিক্রি করেছি।

ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) নাজমুল হক বলেন, গরুটি জবাই করা বন্ধ করা হয় রাতে। কিন্তু ভোরে তারা অপকর্মটি করেছে।

পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, রাতে গরুটিকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে আসি। অথচ ভোরে তারা সেটি জবাই করে মাংস বিক্রি করে দিয়েছে। পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ নেয়া হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আল-মামুন হোসেন জানান, জবাইয়ের আগে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম রয়েছে। পরীক্ষা তো দূরের কথা তারা রোগাক্রান্ত গরু জবাই করেছে। এটি অন্যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।