ধামরাইয়ে নৌকা ডুবে দাদা-নাতনিসহ চারজন লাশ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২০
ফাইল ছবি

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় নৌকা ডুবে দাদা-নাতনিসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (০৪ আগস্ট) উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক ও ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ এলাকায় নৌকাডুবির এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবে দুই কলেজশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একজন প্রাণে বেঁচে গেলেও নিখোঁজ রয়েছে এক স্কুলছাত্রী।

মৃতরা হলেন- সূয়াপুর ইউনিয়নে রৌহারটেক এলাকার সাবেক মেম্বার হিরা ফকিরের ভাগনি কলেজশিক্ষার্থী আফিয়া আক্তার (২০) ও শারমিন আক্তার (২১)। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্রী পন্থি আক্তার (১৫)। নিখোঁজ ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ধামরাই ও মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহারটেক গ্রামের হিরা ফকিরের বাড়িতে নেত্রকোনা থেকে বোন-ভাগনি ঈদের পরেরদিন বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে নৌকায় করে বেড়াতে যায় চারজন। এ সময় বাতাসের কারণে নৌকা ডুবে যায়। এতে হিরা ফকিরের ভাগনি কলেজশিক্ষার্থী আফিয়া আক্তার ও শারমিন আক্তার পানিতে ডুবে মারা যায়। তবে সাঁতার জানায় কাজলি বেগম (৩০) প্রাণে বেঁচে গেলেও দশম শ্রেণির ছাত্রী পন্থি আক্তার নিখোঁজ হয়।

সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোরহাব হোসেন বলেন, সাবেক মেম্বার হিরা ফকিরের দুই ভাগনি ও বোনসহ চারজন নৌকা করে বেড়াতে যায়। এ ঘটনায় দুইজন মারা গেছে এবং একজন নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা চালাচ্ছে।

এদিকে, একই দিন দুপুরে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের মালঞ্চ এলাকায় নৌকা ডুবে মালঞ্চ গ্রামের মৃত রকমত আলীর ছেলে হাকিম আলী (৭০) ও তার নাতনি মুন্নীর (১১) মৃত্যু হয়। মুন্নী প্রবাসী জুলহাস আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় জুলহাস আলীর স্ত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, দুপুরে জুলহাস আলীর অসুস্থ স্ত্রীকে চিকিৎসা করিয়ে নৌকাযোগে বাসায় ফিরছিলেন হাকিম আলী। এ সময় নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে হাকিম আলী, তার স্ত্রী ও নাতনি মুন্নী পানিতে ডুবে যান। পরে হাকিম আলী ও তার নাতনির মরদেহ উদ্ধার করা হলেও পুত্রবধূকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বদির উদ্দিন বলেন, তাদের মরদেহ উদ্ধার করে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ধামরাই ফায়ার সার্ভিস অফিসের ওয়্যারহাউস কর্মকর্তা মো. আলম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই নৌকা ডুবে মারা যাওয়া চারজনের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয়রা। তবে নিখোঁজ একজনকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে আমাদের ডুবুরি দলের সদস্যরা।

আল-মামুন/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।