করোনা উপেক্ষা করে তিস্তা ব্যারাজে মানুষের ঢল
করোনাভাইরাসের কারণে দর্শনীয় স্থানের বদলে তিস্তা নদীর তীর প্রকৃতিপ্রেমীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। করোনা ঝুঁকির মধ্যেই লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ মুখর হয়ে উঠেছে মানুষের পদচারণায়। ঈদের দিন বিকেল থেকে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় মানুষের ঢল নামে।
মঙ্গলবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছে মানুষ। শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় তিস্তাপার। করোনা মহামারির মধ্যেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছেন সবাই। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে তিস্তা ব্যারাজে এসেছেন তারা।
বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে এবার তিস্তা ব্যারাজ, মহিপুর শেখ হাসিনা সেতু ও তিনবিঘা করিডোরকে বেছে নিয়েছেন উত্তরবঙ্গের বিনোদনপ্রেমীরা। ঈদের চতুর্থ দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারও তিস্তা ব্যারাজে মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল।
প্রতি বছরের মতো এবারও তিস্তার এক পাশ থেকে অন্য পাশে ছুটে চলছে স্পিডবোট ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা। হৈ-হুল্লোড়ে মেতেছেন সবাই। সবার আগমনে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে তিস্তাপার। সেই সঙ্গে নদীর বুকে ভাসমান বেশকিছু নৌকা ও স্পিডবোট নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের। নৌকা বা স্পিডবোটে উঠতে চাইলে ৩০ টাকা ভাড়া দিতে হয়।
কয়েক দফা বন্যার পর তিস্তার পানি কমে জেগেছে বালুচর। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে এখন ভরপুর পানি। তিস্তার ভাটিতে তাকালে দেখা যাবে বালুচর। তিস্তা ব্যারাজের মাঝে দাঁড়ালে শোনা যাবে বাতাস আর ঢেউয়ের শব্দ।
তিস্তা ব্যারাজে চিলাহাটি থেকে ঘুরতে আসা আশিক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে পরিবারের সবাই ঘরবন্দি ছিলাম। গত ঈদে ঘর থেকে বের হতে পারিনি। এবার সামাজিক দূরত্ব মেনে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে এলাম। দীর্ঘদিন পর ঘুরতে এসে অনেক ভালো লাগছে আমাদের।
আব্দুর রহিম, শফিকুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান জানান, অনেক দিন বাড়িতে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে গেছি। বন্ধুদের নিয়ে এখানে ঘুরতে এলাম। অনেক আনন্দ করেছি। মন ভালো হয়ে গেল সবার।
তিস্তা ব্যারাজের আনসার ক্যাম্পের ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান বলেন, বিকেল ৫টার পর দর্শনার্থীরা তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় থাকতে পারবেন না। দিনের অন্য সময় তাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন আনসার সদস্যরা।
হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, তিস্তা ব্যারাজে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।
রবিউল হাসান/এএম/পিআর