পটুয়াখালীতে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের
পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দুই ভাই নিহত হয়েছেন।
রোববার (২ আগস্ট) রাত ৮টায় উপজেলার কেশবপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কেশবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. রুমন (৩০) ও ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী ইসাত (২৪)।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু এবং সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছিল। দুই গ্রুপই স্থানীয় এমপি আ স ম ফিরোজ সমর্থিত বলেও জানা গেছে।
রোববার সন্ধ্যা ৭টায় কেশবপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানে রুমন ও তার চাচাতো ভাই ইসাত চা খাচ্ছিল। এ সময় ৪০-৫০ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু বলেন, কোনো দলীয় কোন্দল নেই। কোন্দল স্থানীয় ব্যাপারী বাড়ি আর তালুকদার বাড়ির মধ্যে। এখানে সবাই দলীয় লোক এটা অস্বীকার করতে পারবো না। যারা মারা গেছে তারাও আমার আর যারা মারছে তারও আমার লোক। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।
পটুয়াখালীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বাউফল সার্কেল মো. ফারুক হোসেন জানান, ডিসেম্বরে কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক (ইউপি চেয়ারম্যান) গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই জেরে রোববার সন্ধ্যায় সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যানের সমর্থকরা সভাপতির আপন ভাই যুবলীগ নেতা ইসাত ও চাচাত ভাই রুম্মানকে কুপিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের বাউফল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এএইচ