মানি লন্ডারিং মামলায় এবার বাবরের সহযোগী গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৮:৫০ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২০

মানি লন্ডারিং মামলায় ফরিদপুরে এবার গ্রেফতার হলেন ফরিদপুর সদরের এমপি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বিল্লাল হোসেন (৫৪)।

ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান বাবর বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। শুক্রবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ফরিদপুর শহরতলীর হাড়োকান্দি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।

সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কর্মকার বলেন, ঢাকার কাফরুল থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এর দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় সিআইডি পুলিশের চাহিদা অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে বিল্লালকে।

বিল্লাল ফরিদপুর শহরতলীর হাড়োকান্দি এলাকার বাসিন্দা মৃত শেখ ইছামুদ্দিনের ছেলে। তিনি জেলা শ্রমিক লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন।

জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ হোসেন মোল্লা জানান, ফরিদপুর সদরের এমপি খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই মোহতেশাম হোসেন বাবরের (সাবেক ফরিদপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, বর্তমানে পালাতক) স্বঘোষিত কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন বিল্লাল। এতে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন ছিল না।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ওসি মোরশেদ আলম বলেন, ডিবি পুলিশ শুক্রবার বিকেলে বিল্লালকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করেছে। আগামীকাল শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

জানা যায়, শহর আ.লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার মানি লন্ডারিং এর অভিযোগে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় মানি লন্ডালিং এর অভিযোগ এনে এ মামলাটি দায়ের করেন।

এ মানি লন্ডারিং মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫ এর ৪(২) ধারায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

গত ৭ জুন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেফতার হন রুবেল ও বরকত। পরে তাদের মানিলন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে প্রথমে দুই দিন পরে আরও তিন দিনের রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় দুই ভায়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে তাদের কেরানিগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রেরণ করা হয়।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বিপিএম জানান, সিআইডি’র মানি লন্ডারিং মামলার আসামি রুবেল ও বরকতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বিল্লাল হোসেনের সম্পৃক্ততার প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর শহরতলীর হাড়োকান্দি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভীকে ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর নিজবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বি কে সিকদার সজল/এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।