গাইবান্ধায় গৃহবধূকে মারপিট ও কুপিয়ে জখম


প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় নার্গিস বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করেছেন তার দেবর ও জা। গুরুতর আহত নার্গিস বেগম এখন সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

নার্গিস বেগম সাদুল্যাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের মাজমপুর গ্রামের ফেরদাউস মিয়ার স্ত্রী। তিনি পার্শ্ববর্তী ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্তোলা গ্রামের নুরুল আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও তিন সন্তানের জননী। সাদুল্যাপুর উপজেলার খোর্দ্দকোমরপুর ইউনিয়নের মাজমপুর গ্রামের নিজবাড়িতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেবর শামিম মিয়া ও তার স্ত্রী কাকলী বেগমের হাতে বেদম মারপিটের শিকার হন ওই গৃহবধূ।

নার্গিস বেগমের ছোট ভাই রিপন মিয়া জাগো নিউজকে জানান, তার ভগ্নিপতি ফেরদাউস মিয়া ঢাকায় সিএনজি চালান। স্বামীর বাড়িতে নার্গিস বেগম তিন ছেলেকে নিয়ে থাকেন। স্বামী বাড়িতে না থাকায় পারিবারিক বিষয় নিয়ে নার্গিসের সঙ্গে প্রায়ই তার দেবর শামিম মিয়া ও তার স্ত্রী কাকলীর ঝগড়া বিবাদ হতো। মঙ্গলবার শামিমের ছেলের একটি প্যান্ট হারায়। এ নিয়ে নার্গিসের সঙ্গে শামিম ও তার স্ত্রী কাকলীর কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা নার্গিস বেগমকে রান্না ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করেন। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়েও নার্গিসকে আঘাত করা হয়। মারপিট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নার্গিস বেগমের দুই হাত, দুই পা, কোমরের নিচ কেটে যায়। এছাড়া নার্গিসের শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে ওঠে। তিনি অচেতন হয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নার্গিস বেগম বুধবার সাংবাদিকদের জানান, স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে তুচ্ছ কারণে তার উপরে দেবর ও জা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মারপিটের ঘটনায় তিনি সাদুল্যাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

সাদুল্যাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জাগো নিউজকে জানান, আসামি ওই দম্পতিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

অমিত দাশ/এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।