বেতন-বোনাসের দাবিতে চিনিকল শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ফরিদপুর চিনিকলের আট শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দুপুরে চিনিকলের ফটকে এ কর্মসূচি পালন করেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।
চিনিকল শ্রমজীবী ইউনিয়নের আয়োজনে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী ইউনিয়নের সভাপতি শাহ মো. হারুন অর রশিদ, সাধারণ কাজল বসু, সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারিক, অর্থ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মিন্টু মিয়া ও শ্রমিক নেতা আবুল বাসার বাদশা প্রমুখ।
সমাবেশে চিনিকল শ্রমজীবী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাজল বসু বলেন, গত তিন মাস বেতন পাননি শ্রমিকরা। শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ঈদুল আজহার মাত্র তিন দিন বাকি। এখন পর্যন্ত বকেয়া বেতন বা ঈদ বোনাসের ব্যবস্থা হয়নি। চিনি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ও বেতন ভাতা পরিশোধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ বের করেন শ্রমিকরা। মিছিলটি চিনিকলের এমডি ভবন, প্রধান সড়ক, প্রধান গেটসহ চিনিকল এলাকা প্রদক্ষিণ করেন। পরে শ্রমিকরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা যায়, চলতি বছর ফরিদপুর চিনিকল চার হাজার ৫৪৩ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করেছেন। শ্রমিক কর্মচারীদের বোনাস বাবদ প্রায় ৭৫ লাখ টাকা ও তিন মাসের বেতন প্রায় তিন কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
এদিকে, ২০১৪ সাল থেকে ফরিদপুর চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত ২৭৯ জন শ্রমিক-কর্মচারী গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সরকার ঘোষিত মজুরি কমিশনের বকেয়া পাওনার দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) চিনিকলের প্রধান ফটকে বেলা ১১টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সমাবেশ চলাকালে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের দাবি আদায় কমিটির আহ্বায়ক আলী আকবর শেখ, মীর আব্দুল মান্নান, সিদ্দিক আলী খান, মো. ফিরোজ মিয়া, শুশীল কর, রেজাউল করিম ও আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
ফরিদপুর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ গোলাম কবির বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের বিষয়টি চিনিকল করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। করপোরেশন থেকে অর্থ বরাদ্দ আসলে শ্রমিকদের মাঝে প্রদান করা হবে।
এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক ও কর্মচারীদের বকেয়া গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও মজুরি কমিশনের বকেয়া প্রায় ২৫ কোটি টাকার বিষয়টিও করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে বলে জানানও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বি কে সিকদার সজল/এএম/এমকেএইচ