বাবার কবরের পাশে শায়িত হলেন বাবু, জানাজায় মানুষের ঢল
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বাদ মাগরিব রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে রামগতির রামদয়াল আবদুল হাদী কলেজ মাঠে বাবুর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রামগতি-কমলনগরসহ পুরো জেলা থেকে আগত হাজার হাজার জনতা অশ্রুসিক্ত বিদায় জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় এই নেতাকে।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, শফিউল বারী বাবুর বড় ভাই সাহেদুল বারী মির্জা, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, রামগতি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ হাজারো জনতা।
শফিউল বারী বাবু কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনি রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের সন্তান। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবু মারা যান। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও ভাইসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সোমবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়।
এরপর রাত দেড়টার দিকে শফিউল বারী বাবুকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এখানেই তার মৃত্যু হয়।
কাজল কায়েস/এএম/এমএস